করোনায় আক্রান্তের নিরিখে গোটা রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা।শহরে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা আরও বেড়ে হয়েছে ৩৪০।এই নিয়ে কনটেনমেন্ট জোনের আটটি তালিকা প্রকাশ করল কলকাতা পুলিশ।২৭ এপ্রিল প্রথম কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের তালিকা প্রকাশ করে কলকাতা পুলিশ।সেই তালিকায় জোনের সংখ্যা ছিল ২২৭টি।৪ মে তালিকায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩১২।৫ তারিখে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১৬।৬ মে প্রকাশিত হয় চতুর্থ দফার তালিকা।তাতে শহরের কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩৪।৭মে সেই সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ৩১৯।৯ তারিখ তালিকায় ঢুকে পড়ে আরও ৭টি জোন।ফলে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২৬।রবিবার তালিকায় যুক্ত হয় আর ১২টি জায়গা।শহরে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩৮।সোমবার আরও দু’টি বেড়ে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা হল ৩৪০।
এলগিন রোডের অদূরে লি রোডে একই পরিবারের বেশ কয়েকজনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকা ঘিরে দিয়েছে পুলিশ। সোমবার পরিদর্শনে আসেন ডিসি সাউথ।সোমবার এই এই এলাকায় ডিটক্স স্প্রে করা হয়।
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জোড়াবাগান থানায় কর্মরত, কলকাতা পুলিশের এক হোমগার্ড। বেহালায় রায় বাহাদুর রোডে, হোমগার্ডের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকা সিল করে দিয়েছে পুলিশ।নিউ আলিপুর ও বেহালার সংযোগস্থলে সেনহাটি এলাকাও ঘিরে রাখা হয়েছে।
করোনার প্রকোপ বাড়ায়, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একাধিক এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ চলছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের মল্লিকপুরে ২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর জেরে সিল করে দেওয়া হয় মল্লিকপুর বাজার।
ঝাড়গ্রামেও থাবা বসিয়েছে সংক্রমণ। ৩ বছরের শিশু-সহ ৩ জনের শরীরে হদিশ মিলেছে করোনা ভাইরাসের।স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর,ঝাড়গ্রামের বিনপুরের বাসিন্দা এক যুবকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি জুবিলি মার্কেটের একটি দোকানে কাজ করতেন। এর জেরে গোটা বাজার সিল করে দিয়েছে পুলিশ। চলছে স্যানিটাইজশনের কাজ।
মুর্শিদাবাদেও নতুন করে ৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে।স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, আক্রান্তদের মধ্যে একজন জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের নার্স। বাকি ৩ জন সুতির বাসিন্দা।পুলিশ সূত্রে খবর, ৫ তারিখ দিল্লি থেকে ফেরেন তাঁরা। তাঁদের বাড়ি ও পাড়া সিল করে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারাই বাঁশ দিয়ে পাড়ায় ঢোকা ও বেরনোর পথ আটকে দিয়েছেন।