কলকাতা: রাজ্যে ২ হাজারের নিচেই দৈনিক করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত ১ হাজার ৯২৫, মৃত্যু ৩৮ জনের। একদিনে উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ২১৬ জন, মৃত্যু ২ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় আক্রান্ত ১৭৮ জন, ৭ জনের মৃত্যু। বাংলায় একদিনে করোনা মুক্ত ২ হাজার ১৭ জন। ‘সেপ্টেম্বর-অক্টোবরের মধ্যে ভারতে শিশুদের ভ্যাকসিন,’ এমনই দাবি এইমসের অধিকর্তার। 


এদিকে, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মুখ্যসচিবের বক্তব্য, ‘রাজ্যজুড়ে ২৫০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার নীতি বদলানোয় ভ্যাকসিনের জোগান কমেছিল। ১২ বছর পর্যন্ত বয়সি বাচ্চার মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য বেডের সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্য রাজ্য সরকারের। তৃতীয় ঢেউয়ের আগে শিশুদের চিকিত্‍সায় আরও জোর দেওয়া হচ্ছে। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য ১৩০০ আইসিইউ-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘করোনা ভ্যাকসিনের ২ কোটি ডোজ দিয়েছে রাজ্য সরকার। ৩৩ লক্ষ সুপার স্প্রেডারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছিলাম, কিন্তু পাইনি। ৩ কোটি ভ্যাকসিন পেলে আমরা ২ কোটি টিকা নিতাম, ১ কোটি ভ্যাকসিন বেসরকারি ক্ষেত্রে দেওয়া হত। কাল থেকে ফের ৪ লক্ষ করে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১২ বছর পর্যন্ত বয়সি বাচ্চার মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।’


মঙ্গলবার স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৮৫২ জন। ২২ জুনের হিসেবে রাজ্যে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ছিল ২২,৫০৮ জন। অন্যদিকে, তিনমাস পর ভারতে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে নেমে যায়। সেই সঙ্গে কমে দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে দেশে করোনায় আক্রান্ত হন ৪২ হাজার ৬৪০ জন। একদিনে মৃত্যু হয় ১ হাজার ১৬৭ জনের।