কলকাতা: ক্রমেই জোরালো হচ্ছে আশার আলো। ৩৬ দিন পর রাজ্যে করোনায় একদিনে ১০০-র নীচে নামল মৃত্যু। অন্যদিকে, ৬৩ দিন পর এক লক্ষের কম সংক্রমণের সাক্ষী থাকল দেশ।
গতকালই রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ৬ হাজারের নীচে নামে। আজ আর একটু স্বস্তি বাড়াল রাজ্যের মৃত্যু পরিসংখ্যান। এদিন স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ জনের। ৩৬ দিন আগে ৩ মে রাজ্যে করোনায় মৃত্যু পরিসংখ্যান ছিল ৯৮। করোনায় মৃত্যু তারপর থেকে প্রতিদিনই ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর পাশাপাশি, আক্রান্তের সংখ্যাও বেশ কিছুটা কমেছে এদিন। স্বাস্থ্য দফতরের আজকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৭ জন। গতকাল সংখ্যাটা ছিল ৫ হাজার ৮৮৭। রবিবার সংখ্যাটা ছিল ৭ হাজার ২।
তবে সংক্রমণ কিছুটা কমলেও উদ্বেগ কাটছে না উত্তর ২৪ পরগনার করোনা চিত্র নিয়ে। স্বাস্থ্য দফতরের আজকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই জেলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১০৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের।
করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর নিরিখে রাজ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কলকাতা। আজ স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের।
আজ স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে একদিনে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১২ হাজার ২৯০ জন।
আগামী ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব সবাইকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর ভ্যাকসিন কিনতে হবে না রাজ্যগুলিকে। গতকালই এই ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ এ নিয়ে নির্দেশিকা প্রকাশ করল কেন্দ্রীয় সরকার। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, জনসংখ্যা, আক্রান্তের সংখ্যা ভ্যাকসিনেশনে কতটা অগ্রগতি হয়েছে, সে সব বিবেচনা করেই রাজ্যগুলিকে ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হবে। যদি দেখা যায়, ঠিকমতো ব্যবহার হচ্ছে না, তাহলে ভ্যাকসিন সরবরাহের ওপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। রাজ্যগুলিকে কী পদ্ধতিতে ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হবে, মূলত তারই সূত্র রয়েছে এই নির্দেশিকায়।