কলকাতা: রাজ্যে কমল দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৭১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টাতে বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। একদিনে রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮৩৫ জন। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে ১১ হাজার ১৭১
এদিনের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, সুস্থতার হার ৯৮.০৮ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে আক্রান্ত ১০১ জন। তারপরই কলকাতা। একদিনে আক্রান্ত ৭৪ জন। দৈনিক মৃত্যুতে জলপাইগুড়ি। একদিনে মৃত্যু হয়েছে ২ জনের। আক্রান্তে সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় দার্জিলিং , একদিনে আক্রান্ত ৬৭ । গত ২৪ ঘণ্টায় দার্জিলিঙে করোনায় মৃত্যু হয়নি।
রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৫০ । এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৯৫১ জন । রাজ্যে করোনার জেরে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ১২৮ জনের। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এদিনের বুলেটিন অনুযায়ী, এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৮৮ হাজার ২৬৫। রাজ্য জুড়ে এদিন পরীক্ষা হয়েছে ৪৩, ২০৯ জনের ।
কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোভিড-ভ্যাকসিনেশন নিয়ে এরকম নানা অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। দিল্লি সফরে গিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও বাংলায় আরও ভ্যাকসিন পাঠানোর দাবি জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রেক্ষাপটেই উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! তৃণমূল সাংসদ মালা রায় সংসদে জানতে চেয়েছিলেন, ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত কোন রাজ্য-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কত করোনার ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে কেন্দ্র?
এর উত্তরে, শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার রাজ্যভিত্তিক কত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে দেখা যাচ্ছে, বাংলার থেকে বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে ৫টি রাজ্যকে। তার মধ্যে রয়েছে বিজেপি শাসিত ৩ রাজ্য - গুজরাত, কর্ণাটক ও উত্তরপ্রদেশ।
দিল্লি সফরেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।