কলকাতা: রাজ্যে কমল দৈনিক সংক্রমণ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বৃহস্পতিবারের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে মারণ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ৭৬৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টাতে বাংলায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। একদিনে রাজ্যে করোনামুক্ত হয়েছেন ৮২২ জন। 


এদিনের প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, সুস্থতার হার ৯৮.০৭ শতাংশ। দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা। একদিনে আক্রান্ত ১০৬ জন। দৈনিক মৃত্যুতে শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা এবং জলপাইগুড়ি। দুই জেলাতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আক্রান্তে সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় দার্জিলিং এবং তৃতীয় কলকাতা। দুই জেলায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৬৯ এবং ৬৪। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগী ১১ হাজার ৩০০ জন। একদিন ৭০ জন কমেছে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা। 


রাজ্যে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৫৩৯। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ১৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ১১৬ জন। রাজ্যে করোনার জেরে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৮ হাজার ১২৩ জনের।  রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এদিনের বুলেটিন অনুযায়ী, এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ১ কোটি ৫৬ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫০৬। ১২৯ টি ল্যাবরেটরিতে এই পরীক্ষা হচ্ছে রাজ্য জুড়ে। এদিন পরীক্ষা হয়েছে ৪৫, ৯৩৬ জনের। পজিটিভিটি রেট ১.৬৭ শতাংশ। 


এদিকে রাজ্যে করোনা সংক্রমণে রাশ টানতে বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ। বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিবের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কড়াকড়ি জারি থাকছে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত। তবে লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে কোনও উল্লেখ নেই নির্দেশিকায়। বন্ধ থাকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। রাতের বিধিনিষেধেও থাকছে কড়াকড়ি।


বৃহস্পতিবার মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জারি করা নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ৩১ জুলাই থেকে নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। এদিনের রাজ্য সরকারের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে হলের মধ্যে সরকারি কর্মসূচি পালন করা যাবে।বাজার-হাট খোলা-বন্ধের ক্ষেত্রে বজায় থাকবে আগের নিয়ম। আপাতত বন্ধই থাকছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে, রাতের বিধিনিষেধেও বজায় থাকছে কড়াকড়ি। রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চলাফেরায় যে কড়াকড়ি ছিল, তা বহাল থাকবে।