কলকাতা : রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ৮৪১৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু ২৮ জনের।
রাজ্য সরকারের প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী আজ নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৮৪১৯ জন । সবমিলিয়ে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৬৫৯৯২৭ ।
গতকাল অবধি, মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৫১৫০৮ । এখনও পর্যন্ত করোনায় রাজ্যে মোট মৃত্যুর সংখ্যা প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ মিলিয়ে সাড়ে দশ হাজারের বেশি ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে মোট ২৮ জনের । এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪৯৬৩৮। এবার সংক্রমণে সব থেকে এগিয়ে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা । গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা জেলায় করোনায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ । উত্তর ২৪ পরগনায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৮৬০ জন।
রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। তিনটি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, নির্বাচনের প্রচারে বারবার করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতি নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিশানা করেছেন।
ভোটের ময়দানে বাকযুদ্ধের মধ্যেই এবার মুখ্যমন্ত্রী করোনা পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন। চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি করোনা টিকা নিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছিলেন। চিঠিতে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির কাছ থেকে টিকা কিনে রাজ্যের মানুষকে তা দেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলেন। কিন্তু এর জবাব এখনও পাওয়া যায়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের ব্যার্থতা তুলে ধরে রবিবার সাংবাদিক সম্মেলক করে তৃণমূল কংগ্রেস। ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, দেশের মানুষের সঙ্গে মিথ্যাচার করেছেন প্রধানমন্ত্রী । থালা বাসন বাজাতে বলে দেশবাসীকে ভাঁওতা দেওয়া হয়েছে। করোনাকালে কেন্দ্রীয় সরকার ৬৫ মিলিয়ন ভ্যাকসিন বিদেশে রফতানি করেছে। অন্যদিকে দেশের মানুষ মাত্র ৫২ মিলিয়ন ভ্যাকসিন পেয়েছে।
অন্যদিকে কোভিড-১৯ রুখতে নতুন আদেশনামা জারি করেছে রাজ্য সরকার। সমস্ত প্রকাশ্য জায়গা ও পরিবহণে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। সেই সামাজিক দূরত্ববিধি কঠোরভাবে পালন করতে বলা হয়েছে নির্দেশিকায় । সরকারি দফতরগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে। সব সরকারি ও বেসরকারি অফিসে সপ্তাহে একদিন স্যানিটাইজ করতে বলা হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে যথাসম্ভব ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুলে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সরকারি নির্দেশে।