অমিত জানা, সবং: ভ্যাকসিন-হয়রানির অভিযোগ ঘিরে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবংয়ে ক্ষোভ। ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য সবং গ্রামীণ হাসপাতালে রাত থেকে লম্বা লাইন দেখা যায়। কেউ মশারি টাঙিয়ে হাসপাতালেই শুয়ে পড়েছিলেন, কেউ আবার রাত কাটিয়েছেন গাছের নিচে। টিকা পাওয়ার আশায় শিকেয় ওঠে দূরত্ব বিধি। অভিযোগ, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকা সত্ত্বেও মানুষকে বারবার ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ মানতে নারাজ। আধিকারিকদের দাবি, চাহিদার তুলনায় জোগান কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। 


রাজ্যে ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ বেশ কিছুদিন ধরেই দেখা যাচ্ছে। নানা প্রান্তে ভ্যাকসিনের আকালের জেরে মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। সবংয়েও একই ছবি দেখা যাচ্ছে। ভ্যাকসিন পাওয়ার আশায় রাত ৯টা থেকেই লম্বা লাইন পড়ছে। হাসপাতালেই সারারাত কাটিয়ে দিচ্ছেন বহু মানুষ। লাইন ধরে রাখার জন্য ঘুঁটি সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। কেউ মাটিতে বসে পড়েছেন, কেউ আবার মশারি টাঙিয়ে সেখানেই শুয়ে পড়ছেন। সঙ্গে কেউ কেউ আবার একটি টোকেনের জন্য কাতর আবেদন জানাচ্ছেন। টিকা পাওয়ার আশায় দূরত্ব বিধি মানছেন না অনেকেই।


করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে রাজ্যজুড়ে ভ্যাকসিনের চাহিদা তুঙ্গে। অথচ এখনও বহু মানুষই ভ্যাকসিন পাননি। হন্যে হয়ে দিনের পর দিন ভ্যাকসিনের জন্য হসপিটালে ঘুরছেন অসংখ্য মানুষ।


সবং গ্রামীণ হাসপাতালে ভ্যাকসিন পাওয়ার আশায় সারারাত কাটানো ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই জানিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন। দ্বিতীয় ডোজের সময় হয়ে গিয়েছে। ফোনে দ্বিতীয় ডোজ সংক্রান্ত মেসেজও এসেছে। সেই কারণেই তাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য হাসপাতালে আসছেন। কিন্তু সারারাত হাসপাতালে কাটানোর পরেও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে বলা হচ্ছে, ভ্যাকসিনের জোগান নেই। ফলে দ্বিতীয় ডোজই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যাঁরা এখনও প্রথম ডোজ পাননি, তাঁরা কবে টিকা পাবেন, সেটা কেউই বলতে পারছেন না। দিনের পর দিন ঘুরেও টিকা না পেয়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ বাড়ছে।