কলকাতা: রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামের ব্যাঙ্কগুলির লাইনে আজকাল অপরিচিত মুখের সংখ্যা বেশি। আর প্রত্যেকের কাছেই হাজার হাজার নয়, লাখ লাখ টাকা।


রিপোর্ট বলছে, ব্যাঙ্কে টাকা জমা দিতে যাঁরা আসছেন, তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁদের সিংহভাগই মহিলা, নাম সই করতেও পারেন না। বেশিরভাগই এই প্রথম ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়ালেন, পা দিলেন গ্রামের বাইরে। তাঁরাই আসছেন নিজেদের জনধন অ্যাকাউন্টে লাখো টাকা জমা দিতে।

এই সব গ্রাহকদের অনেকেই সামান্য বিড়ি মজুর, কাজ করেন দিনে ১০০ টাকা মজুরিতে। মালদহের গঙ্গানারায়ণপুরে অনেকের বাড়ি, যে এলাকার বাংলাদেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। বেশিরভাগই টাকা জমনা দিতে আসছেন স্বামীর নির্দেশে।

প্রত্যন্ত এলাকার এই ব্যাঙ্কের শাখাগুলির সিংহভাগ গ্রাহক দিন আনি দিন খাই বিড়ি শ্রমিক। ৫০০, ১,০০০ টাকার নোট বাতিলের পর তাঁরাই যেভাবে লাখ লাখ টাকা ব্যাঙ্কে নিয়ে আসছেন, তাতে ব্যাঙ্ক কর্মীরাও অবাক। জানাচ্ছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এক একটি শাখায় ৩ কোটি টাকার ওপর জমা পড়েছে, বেড়েই চলেছে সংখ্যাটা।

বাংলাদেশের এই সব এলাকা বাংলাদেশ থেকে ঢোকা জাল নোটের জন্ কুখ্যাত। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঠিক পাশে হওয়ায় এই জায়গাগুলি জাল নোট কারবারিদের স্ট্র্যাটেজিক লোকেশন। তাদের সঙ্গে এই আচমকা অর্থস্রোতের কোনও যোগাযোগ আছে কিনা, সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে ব্যাঙ্ককর্মীরা মনে করছেন।