হুগলি: সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে ‘দুয়ারে দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, জনসংযোগের লক্ষ্যে দরজায় দরজায় যাচ্ছেন বিজেপি নেতারাও। শনিবার ধনেখালির দশঘড়া বাজারে বিজেপির স্বচ্ছ ভারত অভিযানে অংশগ্রহণ নিয়ে নিজেই ঝাড়ু হাতে রাস্তা সাফাই করেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
পরে তিনি অংশ নেন চায়ে পে চর্চায়। ধনেখালির মামুদপুরে তাঁতিদের বাড়িতে গিয়ে শোনেন অভাব-অভিযোগ।

এক তাঁতশিল্পী বলেন, করোনার সময় আমাদের অবস্থা খারাপ। নতুন শাড়ি বিক্রি নেই।পাশে সরকার দাঁড়ায়নি। স্বাস্থ্যবিমার কার্ডও নেই।

লকেট চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ধনিয়াখালির তাঁতিদের জন্য রাজ্য সরকার কিছু করেনি, তাঁদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডও নেই। লক্ষ লক্ষ টাকার তাঁত পড়ে আছে, সরকার দেখছে না।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, লকেট চট্টোপাধ্যায় জানেনই না । তন্তুজের মাধ্যমে বাংলার তাঁতিদের তৈরি জিনিস বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি সেটা জানেনই না।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে হুগলি কেন্দ্রটি তৃণমূলের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। লোকসভা ভোটের বিধানসভাওয়াড়ি ফল অনুযায়ী, হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে বিজেপি এগিয়ে ছিল ৫টি আসনে,তৃণমূল এগিয়ে ছিল ২টি আসনে।
বিধানসভা ভোটে হুগলিতে জয়ের পতাকা ওড়াতে মরিয়া তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষই। কিন্তু, হুগলিবাসী কার পক্ষে রায় দেবে? জবাব মিলবে একুশে।