কলকাতা: বামেদের আন্দোলনে শাসক দল পিছন থেকে পরোক্ষভাবে রাজনৈতিক মদত রয়েছে শাসক দলের বলে মনে করেন দিলীপ ঘোষ।
ডিওয়াইএউ আই নেতা মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যু প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, "মৃত্য়ু তো দুর্ভাগ্যজনক। রাজনীতিতে আন্দোলন-লাঠি-মৃত্যু নতুন কিছু নয়। আমাদের ১৩৫ জন মারা গিয়েছে। খুন করা হয়েছে। তখন কোনও আন্দোলন, কোনও চাকরির কথা কেউ বলেনি। আমাদের কর্মীদের দায়িত্ব আমরা নিয়েছি।"
এরসঙ্গেই তিনি জানান, বামেদের এই আন্দোলনকে পিছন থেকে মদত দিয়েছে তৃণমূল। বলেন, "এই আন্দোলন করানো হচ্ছে, লাভ তোলা হচ্ছে, চাকরি দেওয়া হচ্ছে ..এর পিছনে সূক্ষ্ম রাজনীতি রয়েছে। সিপিএম-কংগ্রেসকে দিয়ে আন্দোলন করানো, লাঠি চালানো, প্রচার করা--- কর্মী মারা গিয়েছে তা দুর্ভাগ্যের। সঙ্গে সঙ্গে চাকরি দেওয়া। জানা নেই তৃণমূলের যাঁরা মারা গিয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে চাকরি দেওয়া হয়েছে কি না।"
এখানেই থেমে থাকেননি দিলীপ। বলেন, "এই যে স্যালাইন দেওয়ার রাজনীতি চলছে পশ্চিমবঙ্গে, বোঝাই যাচ্ছে, এর পিছনে কী রহস্য রয়েছে। হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রীর এত দরদ উথলে উঠল..এত শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছে, এত দুঃখ প্রকাশ করতে দেখিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।"
বাম-কংগ্রেস জোটকে কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বলেন, গণতন্ত্রে যে কেউ বৈঠক করতে পারে, জোট করতে পারে। হয়ত এমনও দেখা যাবে, তাদের সঙ্গে তৃণমূলও যোগ দিল। কারণ এখন আপন বড় বালাই। বাঁচতে হবে সবাইকে। আমরা বলছি, আপনারা ঠিক করে নিন, কে কার সঙ্গে লড়বেন, কীভাবে লড়বেন, তারপর আমাদের সামনে আসুন।"
গতকালই মা ক্যান্টিন প্রকল্প চালু করছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, "এতদিন মানুষকে এত ধোঁকা দিয়েছেন। খালি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দশ বছর পর কেন গরিব? যার ৩০ টাকার চাল কেনার ক্ষমতা নেই, তাকে ৫টাকা দিয়ে খেতে হচ্ছে লঙ্গরে। আমরা জানি এর পরিণতি হবে। লকডাউনের সময় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ওখানে লঙ্গর চালু করেছিলেন। সাতদিনও চলেনি। এসব স্টান্টবাজি। ভোটের জন্য হচ্ছে।"