বাঁকুড়া: ভোটমুখী রাজ্যে প্রথমে ‘দুয়ারে সরকার’, তারপর, ‘পাড়ায় পাড়ায় সমাধান’-এর মতো নতুন নতুন কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। এরইমধ্যে এবার বাঁকুড়ায় নতুন কর্মসূচি নিল তৃণমূল --- ‘ঘরে চলো অভিযান’।
বুধবার, বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের, বড়চাকা গ্রাম থেকে ‘ঘরে চলো অভিযান’-এর সূচনা করেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি।
শাসকদলের দাবি, এই কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি প্রকল্প নিয়ে মানুষের অভাব-অভিযোগের কথা শোনা হবে ও তা সমাধানের চেষ্টা করা হবে। ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাঁকুড়া জেলাজুড়ে চলবে এই কর্মসূচি।
কর্মসূচি শুরুর দিনই মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষোভ উগড়ে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। একজন বলেন, ভোটের সময় সব দল আসে। প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায়। কিন্তু কাজের কাজ হয় না। আদিবাসীদের মিটিং-মিছিলে নিয়ে যায়। আমাদের গ্রামে অনেক সমস্যা রয়েছে। যেমন কাঁচা রাস্তা, পানীয় জল, সেচ ইত্যাদি। আরেকজন বলেন, আদিবাসীরা অনেক কিছু থেকেই বঞ্চিত। যেমন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আবাস যোজনা। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেলে ভাল হতো।
দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা। বলেছেন, কিছু মানুষ বলছেন সুযোগ-সুবিধা পাননি। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সমস্যা সমাধান করার। আদিবাসীরা আমাদের সঙ্গেই আছে।
এই ইস্যুতে শাসক দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মারকানালি পঞ্চায়েতের উপ প্রধান তথা বিজেপি নেতা অর্ধেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী বিরোধীদের দখলে থাকা পঞ্চায়েতে উন্নয়নের করতে দেননি। এখন ভোটের সময় এসেছেন কাজ দেখাতে। পুরোটাই নাটক। মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছে।
‘ঘরে চলো অভিযান’-এর পাশাপাশি, এদিন এলাকায় বিলি করা হয় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ক্যালেন্ডার।
এর আগে গতকাল বাঁকুড়া ২ নম্বর ব্লকের দু’টি আদিবাসী গ্রামে জনসংযোগ সারে শাসক শিবির। সকালে কাঞ্চনপুরে আদিবাসীপাড়ায় গিয়ে প্রচার চালান তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের জেলা সভানেত্রী। প্রার্থীর নামের জায়গা ফাঁকা রেখে লেখা হয় দেওয়াল।
তবে গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ, এলাকায় সেভাবে উন্নয়ন হয়নি। ভোট মিটে গেলে কারও দেখা মেলে না। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি শাসক দলের নেত্রী।