পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা:  সোমবার অধিকারী-গড় বলে পরিচিত নন্দীগ্রামে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় পা রেখে তৃণমূলনেত্রী কী বার্তা দেন, সে দিকে নজর থাকবে গোটা রাজ্যের।


তৃণমূলনেত্রী যখন নন্দীগ্রামে থাকবেন, ঠিক সেই সময় তাঁর দক্ষিণ কলকাতা-গড়ে সভা ও পদযাত্রা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামীকালের জনসভায় তিনি কী বার্তা দেন, সেই নিয়েও যথেষ্ট কৌতুহল রাজ্যের রাজনৈতিক মহেল।


ইতিমধ্য়েই, নন্দীগ্রামে মমতার সভা নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করেছে। শাসক শিবিরের দাবি, নেত্রীর সভায় কমপক্ষে ৩ লক্ষ জমায়েত হবে। এর জন্য কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে শাসক শিবির।


নন্দীগ্রাম দিবসের দিন সেখানে দাড়িয়ে জনসভা থেকে মমতার উদ্দেশে বিজেপি নেতা শুভেন্দু বলেছিলেন, "দুই মেদিনীপুর মিলিয়ে ৩৫টি আসনের ৩৫টিতেই তৃণমূল কংগ্রেস হারবে। দিদিমণি এবারও আপনি এখানে দ্বিতীয় হবেন। প্রথম হবে বিজেপি।"


শুভেন্দুর হুঙ্কার যে তৃণমূল চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করেছে, তা শাসক শিবিরের ইঙ্গিতেই স্পষ্ট। মমতার সভার আগে পূর্ণশক্তি নিয়ে ঝাঁপাতে চলেছে তৃণমূল শিবির।


জনসভায় যোগদানের আহ্বান জানিয়ে রবিবার কাঁথি শহরে মিছিল করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কাঁথি সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হবে মিছিল। শেষ হবে পোস্ট অফিস মোড়ে। মিছিলে উপস্থিত থাকবেন তৃণমূল নেতা তরুণ জানা, উত্তম বারিক, হাবিবুর রহমান, শেখ সাত্তার–সহ একাধিক নেতারা।


এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদানের পর গত ৭ তারিখ প্রথমবার নন্দীগ্রামে যাওয়ার কথা ছিল মমতার। কিন্তু, অখিল গিরি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় সেই সফর পিছিয়ে দেওয়া হয়।


যদিও, বিজেপির দাবি, ভয় পেয়ে যাননি তৃণমূলনেত্রী। গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ভয় পেয়ে যাচ্ছেন না মমতা, রামনগরে অখিল গিরির সঙ্গে ৪টে লোক নেই, তিনি নন্দীগ্রামে সভায় লোক করবেন? মমতার সভা নন্দীগ্রামে, অখিল গিরি তো রামনগরের বিধায়ক। নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে আর খাওয়া যাবে না বুঝেছেন।


এদিকে, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার দিনই দক্ষিণ কলকাতায় পথে নামছেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামিকাল, সোমবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ টালিগঞ্জ মেট্রো স্টেশন থেকে রাসবিহারী মোড় পর্যন্ত পদযাত্রায় অংশ নেবেন তিনি।


এরপর সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সভায় থাকার কথা শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। খবর সূত্রের। শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামের প্রাক্তন বিধায়ক। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে তিনি বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন।