রানা দাস, পূর্ব বর্ধমান: বিধানসভা ভোটের আগে ভাইপো ইস্যুতে সরগরম রাজ্য রাজনীতি।
এই প্রেক্ষাপটে দল বদলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন আরেক ভাইপো। কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ভাইপো রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়। কার্যত স্রোতের বিপরীতে হেঁটে তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি।
সোমবার কাটোয়া স্টেশন বাজার চত্বরে এক জনসভায় অধীর চৌধুরীর হাত থেকে কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেন তিনি। বলেছেন, তৃণমূলকে আমি কোনও দিনই ভালবাসতাম না। শুধু পারিবারিক কারণে আসতে হয়েছিল। দলের দুঃসময় আমি সক্রিয় ছিলাম। সুসময়ে আমি নিষ্ক্রিয়।
এপ্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কাটোয়া কংগ্রেসেরই গড়। রবিবাবুকে এখানকার লোক ভালবাসত। তিনি যেহেতু কংগ্রেস ছিলেন। যেদিন থেকে তৃণমূলে গিয়েছেন মানুষ ওনাকে ভালবাসতে পারে কিন্তু তৃণমূল দলকে নয়। তৃণমূলে থাকলে ফল ভুগতে হবে।
২০১৫ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ওই সময় কাকার হাত ধরে কংগ্রেস ছাড়েন রণজিৎও।
ছ’বছর পর আবার পুরনো দলে ফিরলেন তিনি। যদিও, ভাইপোর দলবদলে গুরুত্ব দিতে নারাজ কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক। রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যে কোনও দলে যে কেউ যেতে পারেন। রণজিৎ প্রথম দিকে সক্রিয় থাকলেও এখন ছিল না। ও কেন দলে কোনও পদ পায়নি সেটা দলই জানে।
২০১১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে প্রায় ২৭ হাজার ভোটে জিতেছিলেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬-য় তৃণমূলের টিকিটে জিতলেও, ব্যবধান কমে হয় মাত্র ৯০০। গত লোকসভা ভোটের বিধানসভাভিত্তিক ফলের নিরিখে কাটোয়ায় ১ হাজার ৮৫৯ ভোটে এগিয়ে আছে বিজেপি।
এই প্রেক্ষাপটে বিধায়কের ভাইপোর দলবদল কি বিধানসভা ভোটের সমীকরণে ছাপ ফেলবে? সেটাই দেখার।