ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : কলকাতায় খুব তাড়াতাড়ি গড়ে উঠবে একটি পূর্ণাঙ্গ 'হেলথ হাব'। সেখানে এক ছাদের তলায় সমস্ত রকমের রোগ নির্ণয়, রোগ নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ করার ব্যবস্থা থাকবে। সুলভে মিলবে এই হেলথ হাবের পরিষেবা। ইতিমধ্যে প্রস্তুত চূড়ান্ত নীল নকশা। আর, পুরোটাই হবে স্বাস্থ্য কমিশনের তত্ত্বাবধানে।


শনিবার রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশনের প্রশাসনিক বৈঠক শেষে কমিশনের চেয়ারপার্সন বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, 'এর আগে খসড়া নীল নকশা কমিটির সমস্ত সদস্যদের দেওয়া হয়। এরপর সমস্ত সদস্যদের মতামত সহ চূড়ান্ত নীল নকশা চূড়ান্ত করা হয়।'


আজকের বৈঠকে অন্য আরও দু'টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন । প্রথমটি হল কমিশনের বকেয়া মামলার সংখ্যা কমানোর জন্য বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া। আজকের বৈঠকে রিপোর্ট মূল্যায়ন করা হয়। দেখা যায় কমিশনের কাছে বকেয়া মামলার সংখ্যা কমতে কমতে ইতিমধ্যে পঞ্চাশের আশপাশে ঠেকেছে। তবে সেটাও আরো দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য কমিশনের কমিটিতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন সদস্যরা। কমিশনের চেয়ারপার্সন আরও জানান, ‘‘কমিশনের কাজে গতি আনার লক্ষ্যে আরও কিছু বিশেষজ্ঞকে নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে । কমিশনে বিভিন্ন মামলার শুনানিতে ওই বিশেষজ্ঞরা যাতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, তার জন্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে কমিশন।’’


এ ছাড়া করোনা পরিস্থিতি ভালোভাবে সামাল দেওয়ার জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্মীদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। চেয়ারপার্সন বিচারপতি (অবসরপ্রাপ্ত) অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, কোভিড আবহে দেশের মধ্যে সব থেকে ভালো পরিষেবা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ । তাই এবার করোনা যোদ্ধাদের সংবর্ধনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল এ রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন।


শনিবার কমিশনের প্রশাসনিক বৈঠকের পরে কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, " করোনার সময় গোটা দেশের মধ্যে এরাজ্য সব থেকে ভালো পরিষেবা দিতে পেরেছে। যেসব মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমে এটা সম্ভব হয়েছে, তাঁরা হলেন চিকিৎসক, নার্স, গ্রুপ-ডি কর্মী, ম্যানেজমেন্ট স্টাফ প্রমুখরা ৷ তাঁদের সকলকে নিয়ে থ্যাংস গিভিং সেরিমনির চেষ্টা করা হচ্ছে । " তিনি আরও বলেন, "মূলত বেসরকারি হাসপাতাল থেকে নমিনেশন চাইবে কমিশন । সেইসব কৃতী মানুষকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে । এই রকম একটা অনুষ্ঠানের কথা আমরা ভেবেছি ।" তবে, আসন্ন নির্বাচনের কারণে টেকনিক্যাল কিছু বিষয় রয়েছে । এইসব বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কমিশন কথা বলবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।