রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: বিধানসভা ভোটের জন্য শনিবার প্রথম দফায় ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এল রাজ্যে। আর এনিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী। তিনি দাবি করেছেন, বাংলায় তাঁরাই ক্ষমতায় থাকবেন। ভয় পেয়েই বিরোধিতা করছেন বিধায়ক, পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


রাজ্যের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে তার আগে শনিবারই, বাংলায় প্রথম দফায় এল ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোটারদের আস্থা ফেরাতে শুরু হয়েছে রুট মার্চ। কিন্তু, কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে না আসতে এনিয়ে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে তরজা।


এদিন জলপাইগুড়ির যোগমায়া কালীবাড়িতে পুজো দিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে বিজেপিকে তুলোধনা করেন আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক। আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী জানান, ‘‘নির্বাচন তো এখনও ঘোষনা হয়নি তার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠিয়ে ধমক-চমক দেখানোর পরিকল্পনা করছে বিজেপি, তবে এসব করে কোনও লাভ হবে না। বাংলায় তৃণমূলই ক্ষমতায় থাকবে। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছে ৷’’


কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে অবশ্য এর আগেও একাধিকবার তোপ দেগেছে তৃণমূল। ১৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার পৈলানের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রসঙ্গ তুলে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ‘’কেন্দ্রীয় পুলিশ নিয়ে আসবে, ভয় পাবেন না, বেশি ভয় দেখালে বাড়ির মেয়েরা খুন্তি নিয়ে দাঁড়াবে, নিজের এলাকায় নজর রাখুন, অনেক জায়গায় টাকা দেওয়া হচ্ছে ৷’’


শাসক দলের তরফে একের পর এক আক্রমণ ধেয়ে আসতেই, এনিয়ে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি বিজেপি। জলপাইগুড়ির বিজেপি সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী জানান, ‘‘কেন্দ্রীয় বাহিনি বিজেপি ঠিক করেনি এটা নির্বাচন কমিশন ঠিক করেন কারণ বিগত দিনে ভোটে যেভাবে সন্ত্রাস হয়েছে সেই কারণেই এটা কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত এখানে বিজেপির কথায় বাহিনি আসছে না।’’


সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে যুযুধান দুই শিবিরের তরজায় সরগরম রাজ্য রাজনীতি।