অর্ণব মুখোপাধ্যায় ও ঋত্বিক মণ্ডল, হুগলি: নরেন্দ্র মোদি রাজ্য ছাড়তেই, তাঁর সভা নিয়ে শুরু হল বিতর্ক। প্রধানমন্ত্রীর কপ্টার নামার জন্য নির্বিচারে কেটে ফেলে হয়েছে গাছ। সবুজ ধ্বংসের এমনই অভিযোগ চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়কের। এদিকে, আগামিকাল সাহাগঞ্জের ডানলপ ময়দানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রস্তুতি তুঙ্গে। গঙ্গাজল ছিটিয়ে মাঠ শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


বিজেপির সভার জন্য সবুজ ধ্বংসের অভিযোগে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াল তৃণমূল। সোমবার হুগলির সাহাগঞ্জে, ডানলপ ময়দানে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী। সভামঞ্চের কাছেই একটি মাঠে অস্থায়ী হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়। সোমবার সেখানে নামে ৩টি কপ্টার। বুধবার এই মাঠে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার তার প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক।


চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ‘‘পরিবেশ দফতরের অনুমতি না নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। পরিবেশ দফতরে অভিযোগ জানাব। পুলিশও সবটা দেখেছে। বিজেপির কর্মসূচির জন্য কেন গাছ কাটা হল?’’


এদিন এই মাঠে বৃক্ষরোপন করেন তৃণমূল কর্মীরা। এলাকায় লাগানো হয়েছে ফ্লেক্স। যেখানে লেখা ‘মোদি মানেই ধ্বংস, দিদি মানেই সৃষ্টি’। তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, সব বেচে দিচ্ছেন মোদি। অক্সিজেনও শেষ করে দিচ্ছেন ৷


প্রধানমন্ত্রী সভা করে গেছেন সোমবার। বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার আগে, সেই মাঠে গঙ্গাজল ছিটিয়ে শুদ্ধিকরণ করেন তৃণমূল কর্মীরা। হুগলির তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘বাইরে থেকে লোক এনেছিল বিজেপি। আমরা জেলার লোক দিয়েই মাঠ ভরাব ৷’’


 নরেন্দ্র মোদির সভার দু’দিন পর একই মাঠে সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের জবাবে, কী বলবেন মুখ্যমন্ত্রী? সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।