নয়াদিল্লি: পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া শহরে ‘পরিবর্তন যাত্রা’-র আগে খোলা হল বিজেপির হোর্ডিং-ফ্লেক্স। অনুমতি না নিয়েই ফ্লেক্স-হোর্ডিং টাঙানো হয় বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতা তথা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যের। আতঙ্কে রয়েছে তৃণমূল, পাল্টা খোঁচা বিজেপি সাংসদের।


বিজেপির ‘পরিবর্তন যাত্রা’-কে কেন্দ্র করে গত শনিবারই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দুর্গাপুরের স্টিল পার্ক এলাকা। নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয় বিজেপির পতাকা। সেই ঘটনার ৪ দিনের মাথায় এবার রথযাত্রার আগে খোলা হল গেরুয়া শিবিরের হোর্ডিং-ফ্লেক্স। ‘পরিবর্তন যাত্রা’ উপলক্ষে বাঁকুড়া শহর হোর্ডিং-ফ্লেক্সে মুড়িয়ে দেয় পদ্মশিবির। রাস্তার উপর তৈরি করা হয় বেশ কয়েকটি তোরণ। মঙ্গলবার বাঁকুড়া শহরে বিজেপির রথ পৌঁছনোর আগেই স্থানীয় পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের সদস্য দিলীপ অগ্রবাল দাঁড়িয়ে থেকে ওই হোর্ডিং-ফ্লেক্সগুলি খুলে দেন। তবে তোরণগুলিতে হাত দেননি পুরকর্মীরা।  


পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অনুমতি না নিয়েই ওই হোর্ডিং-ফ্লেক্সগুলি লাগানো হয়েছিল। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


বাঁকুড়া পুরসভার তৃণমূল নেতা ও প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দিলীপ অগ্রবাল জানান, ‘বেআইনিভাবে এই ফ্লেক্সগুলি টাঙানো হয়েছে। কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফ্লেক্সের জন্য নির্ধারিত পুরকর দেওয়া হয়নি। কোনও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা নেই৷’


পাল্টা বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার বলেছেন, ‘পুরসভা এখন পুরোপুরি আতঙ্কে রয়েছে। গোটা তৃণমূল দলও এখন আতঙ্কিত। এজন্যই ওরা এসব কাজ করছে। দিনের পর পর যখন কোনও সংস্থা হোর্ডিং লাগিয়ে রাখে তখন তো কিছু হয় না। বিজেপি হোর্ডিং দিলেই অসহ্য লাগে৷’


বিধানসভা ভোটের মুখে বিজেপির পরিবর্তন যাত্রা কর্মসূচিকে ঘিরে বারবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে। ৮ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় প্রশাসন নির্ধারিত রুটকে অগ্রাহ্য করে রথ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। ১২ ফেব্রুয়ারি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতেও রথযাত্রা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। এর মধ্যেই এবার বাঁকুড়া শহরে উঠল অনুমতি না নিয়ে ফ্লেক্স-হোর্ডিং লাগানোর অভিযোগ।