রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  ভাঙড়ে আইএসএফ কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বোমা তৈরির মশলা, আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি। আইএসএফ কর্মীর বাবাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।


গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে ডিএসপি ক্রাইমের নেতৃত্বে ভাঙড় থানার পুলিশ ভাঙড়ের সিতুড়িতে আইএসএফ কর্মী জলিল মোল্লার বাড়িতে হানা দেয়। 


বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় বোমা তৈরির উপকরণ, একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ। আইএসএফ কর্মীর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। ছেলে আইএসএফ করে বলে ষড়যন্ত্রের শিকার, দাবি বাবার। আইএসএফ-কে ঘিরে গত ২ দিন ধরেই উত্তপ্ত ভাঙড়। এর আগে, রবিবার ও সোমবার ভাঙড়ে ফের ইণ্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) কর্মীকে বেধরক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।


প্রতিবাদে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আইএসএফের কর্মীরা। রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন  আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। 


ইণ্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের দাবি, রবিবার দলের কর্মীরা ব্রিগেড থেকে ফেরার পরই তাঁদের হুমকি দিতে শুরু করে তৃণমূল। অভিযোগ, সোমবার আব্বাস অনুগামীদের তৃণমূলের পতাকা বাঁধতে জোর করা হয়। অস্বীকার করলে, তাঁদের বেধরক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। দলের এক কর্মী সাইনুর লস্কর বলেন, হুমকি দিচ্ছিল পতাকা বাঁধতে বলে না বাঁধলে মারধার করে।


অন্যদিকে, ভাঙড় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও তৃণমূল নেতা শাহজাহান মোল্লা বলেন, আমাদের ছেলেরা ঐ এলাকায় তৃণমূলের দলীয় পতাকা বাঁধতে গেলে ওরাই বরং আমাদের ছেলেদের বাধা দেয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।


১০ এপ্রিল ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। এখন থেকেই রাজনৈতিক টানাপোড়েনে উত্তপ্ত ভাঙড়।