পূর্ব মেদিনীপুর: আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এবার সকলের চোখ নন্দীগ্রামে। এই আসনেই হতে চলেছে ভোটযুদ্ধের সবচেয়ে বড় লড়াই একদিকে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, শুভেন্দু অধিকারী। 


আর এই লড়াই নিয়ে মুখ খুলেছেন শুভেন্দুর বাবা তথা তৃণমূল নেতা শিশির অধিকারী। এদিন ইঙ্গিতপূর্ণভাবে তিনি বলেন, ওঁকে (মমতা) যদি নন্দীগ্রামে ডেকে না নিয়ে আনতাম, তাহলে এত কথা বলতে পারতেন না। 


রাজনৈতিক মহলের মতে, নন্দীগ্রামে হাই-ভোল্টেজ লড়াই হতে চলেছে। যদিও, তা মানতে রাজি নন শিশির। তাঁর মতে, কোনও যুদ্ধই হবে না। তিনি বলেন, হারের ব্যবধান এতটা থাকবে যে কেউ ভাবতেই পারছেন না। আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত।


তিনি যোগ করেন, গত ২-৩ মাসে তাঁদের ওপর অবর্ণনীয় আক্রমণ হয়েছে। মানুষ এর জবাব দেবে।


শুক্রবারই নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল বিজেপি।


ফলে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘরে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে লড়াই তাঁরই প্রাক্তন সেনাপতির। বঙ্গের বিধানসভা ভোটের হটস্পট এখন নন্দীগ্রাম।


প্রার্থীপদ ঘোষণার আগেই এদিন নরেন্দ্র মোদির ব্রিগেড সমাবেশের প্রচারে নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়া থেকে পদযাত্রা করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে জনসভাতেও যোগ দেন।


শুক্রবার প্রার্থী ঘোষণার পর নাম না করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  বলেছিলেন, নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি কথা দিলে, সেই কথা রাখি। খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে। 


এদিন জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু। বললেন, তৃণমূলের প্রার্থী বহিরাগত। ৫ বছর পরে ভোট চাইতে আসে, মানুষ প্রত্যাখ্যান করবে। নিজের বুথে হারে, সে কি জিতবে। পাল্টা সৌগত রায় বলেন, শুভেন্দু দলবদলু-বহিরাগত। ও তো নন্দীগ্রামে বহিরাগত, ওর বাড়ি তো কাঁথিতে। 


এদিন প্রার্থীপদ ঘোষণার আগেই শুভেন্দু অধিকারীর নামে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে যায় নন্দীগ্রামে। 


পিছিয়ে নেই শাসক শিবিরও।  ৯ মার্চ নন্দীগ্রামে কর্মিসভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল পাঁচটায় বড়তলা সংলগ্ন মাঠে কর্মিসভা হবে।


ইতিমধ্যেই মাঠ পরিদর্শন করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্বে ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকরা।


১০ মার্চ রেয়াপাড়ার শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে হলদিয়া মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।