কলকাতা: কাটতে চলেছে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের জট। সূত্রের খবর, বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের মধ্যে আসন রফা কার্যত চূড়ান্ত।
কংগ্রেস লড়তে চলেছে ৯২টি আসনে। ৩৭-৩৮টি আসনে লড়বে আইএসএফ। বাকি আসনে বামেরা লড়বে, খবর সূত্রের। বাম-কংগ্রেসের মধ্যে ৪টি আসন বিনিময় নিয়ে কথা চলছে, প্রভাব পড়বে না জোটে, দাবি নেতৃত্বের।
গতকালই, কংগ্রেস-আইএসএফ বরফ গলার ইঙ্গিত মিলেছিল। জোটের জট কাটার আভাস পাওয়া গিয়েছিল। ৮ মার্চ জোটের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কথা। তার আগেই কোন দল, ক’টি আসনে লড়বে, তা ঘোষণার উদ্যোগ নেয় সিপিএম।
সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে গতকালই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
সূত্রের দাবি, সূর্যকান্ত অধীরকে বলেন, সমস্যা মিটে গেছে। বৃহস্পতিবার যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করা যেতে পারে। আপনি কলকাতায় আসুন।
সূত্রের দাবি, অধীর বলেন, এখন কলকাতায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে আসন রফা নিয়ে কী হল, সেই তালিকা আমাদের পাঠান। অধীর এ-ও বলেন, তালিকা পাওয়ার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস।
সূত্রের দাবি, ব্রিগেডে এই ঘোষণার কথা থাকলেও, তা হয়নি। উল্টে আসন ভাগ নিয়ে কংগ্রেসকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন আইএসএফ-এর প্রতিষ্ঠাতা আব্বাস সিদ্দিকি। পরে অবশ্য সুর নরম করেন তাঁরা।
এখনও অবধি জানা গেছে, আব্বাসের দলকে ৭টি আসন ছাড়তে রাজি হয়েছে কংগ্রেস। তবে সূত্রের দাবি, যে ৭টি আসন তারা আইএসএফ-কে ছাড়বে, সেই ঘাটতি বামেদের পুষিয়ে দিতে হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
বুধবার রাজ্য সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্ব ইন্ডিয়ান স্যেকুলার ফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে, জট কাটাতে উদ্যোগী হয়। সূত্রের দাবি, বামেদের তরফে আইএসএফ নেতাদের বলা হয়, বাড়তি আসনের দাবি থেকে সরে আসতে।
এই প্রসঙ্গে আইএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মালদা আর মুর্শিদাবাদে অন্তত ১টি করে আসন তাদের ছাড়া হোক। যদিও, আইএসএফ-কে মালদা-মুর্শিদাবাদে একটিও আসন ছাড়তে রাজি নন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। বলেন, আমরা জোটের মীমাংসা করে দিয়েছি, ওদের তো বলে দিয়েছি মালদা-মুর্শিদাবাদ দেব না, আলোচনা চলছে।
সূত্রের দাবি, হুগলির জাঙ্গিপাড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় - এই দু’টো কেন্দ্রেই প্রার্থী দেবে ইন্ডিয়ান স্যেকুলার ফ্রন্ট।