কলকাতা: যিনি তাঁর নিজের বুথে জিততে পারেন না, তিনি রাজ্যের কোথাও জিততে পারবেন না। নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। 


শুক্রবারই নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে লড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রার্থী ঘোষণা করে বিজেপি।


আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে এবার সকলের চোখ নন্দীগ্রামে। বঙ্গের বিধানসভা ভোটের হটস্পট এখন নন্দীগ্রাম। ফলে জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘরে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে লড়াই তাঁরই প্রাক্তন সেনাপতির। 


এই প্রেক্ষিতে এদিন বেহালার জনসভা থেকে এক সুরে মমতা ও অভিষেককে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মাননীয়া কেন ভবানীপুর থেকে পালালেন? মাননীয়ার সঙ্গে তোলাবাজ ভাইপোর অত্যাচারে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। ওই এলাকায় ৩৫টি প্লট দখল করেছে একটি পরিবার। সিবিআইয়ের সৌজন্যে শান্তিনিকেতন বাড়ি বাংলার মানুষ দেখতে পেয়েছে।’ 


এরপরই তিনি বলেন, ‘গত লোকসভা ভোটে মাননীয়ার বুথেই বিজেপি জিতেছিল। যে তাঁর নিজের বুথে জিততে পারেন না, সে রাজ্যের কোথাও জিততে পারবেন না।’


রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের প্রকল্প গ্রহণ করছেন না। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করে রাজ্যে চালাচ্ছেন।’


শুভেন্দু বলেন, ‘এসএসসি, প্রাথমিক টেট নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। সাড়ে ৮ লক্ষ বেকার রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। গত ১০ বছরে বাংলায় একটিও শিল্প হয়নি।’


এখানেই থামেননি বিজেপি নেতা। বলেন, ‘৩ কোটি বাংলার মানুষ চিটফান্ডে প্রতারিত হয়েছেন। চিটফান্ডের টাকা ফেরত পেতে চাইলে বিজেপির সরকার চাই। অ্যালকেমিস্টের মালিককে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল তৃণমূল।’


রাজ্য সরকারকে একদিকে যেমন আক্রমণ করেছেন, অন্যদিকে নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করে রবিবারের ব্রিগেডকে ঐতিহাসিক করার ডাক দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘কালকের ব্রিগেডকে ঐতিহাসিক ব্রিগেড করতে হবে। 


রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ দিয়ে শুরু হচ্ছে বাংলায় বিজেপির মেগা প্রচার। প্রধান বক্তা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর এই সমাবেশেই ১০ লক্ষ মানুষের জমায়েত করার টার্গেট নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘এবারের নির্বাচনের পর ডাবল ইঞ্জিন সরকার করব। সোনার বাংলা গঠন করব।’


মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশংসা করে শুভেন্দু বলেন, ‘দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত করেছেন নরেন্দ্র মোদি। করোনার সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছেন। অন্যান্য দেশ ভারতীয় ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করছে।’


তিনি যোগ করেন, ‘৪৯২ বছরের অযোধ্যার লড়াইয়ে জয় হয়েছে। নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের শিলান্যাস করেছেন। বাংলার মাটি থেকে মন্দির নির্মাণের জন্য ৫০ কোটি টাকা পাঠানো হয়েছে।’


এখানেই থামেননি শুভেন্দু। বলেন, ‘তিন তালাক আইন মোদি সরকার পাস করিয়েছে। ৩৭০ ধারা বাতিল করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছেন মোদি।’