মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগদানের পরদিনই উল্লাসে মাতল তৃণমূল। পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে দলত্যাগী বিধায়কের ছবিতে মালা পরিয়ে, এলাকায় মিষ্টি বিলি করলেন শাসক দলের কর্মীরা। পরিবর্তন আসন্ন, এসবে কোনও লাভ হবে না, পাল্টা জবাব দিয়েছে বিজেপি।


তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে মঙ্গলবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারি অবশেষে বিজেপিতে যাওয়ায় উল্লসিত তৃণমূল শিবির। বুধবার, বিধায়কের বিদায়ে আনন্দে মাতলেন তৃণমূল কর্মীরা। পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে দলত্যাগী বিধায়কের নির্বাচনী এলাকাতেই, মিষ্টি বিলি করল শাসক দল।


আসানসোলের প্রাক্তন মেয়রের ছবিতে জুতোর মালা পরিয়ে এলাকায় ঘুরলেন তৃণমূল কর্মীরা। পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান, ‘‘অনেক আগেই তিনি বিজেপিতে গেছেন, সেটিং হচ্ছিল না বলে সময় লাগল, আমরা চন্দন পরিয়ে মাথায় তুলে রেখেছিলাম, এখন অন্যের বাড়িতে ঘর মুছবে ৷’’ পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় জানান, ‘‘শিকারি ও শিকার একসাথে হল, বাবুল ছুঁচো গিললেন, শিকারি তো শিকার করবেই ৷’’


 



 


পুরমন্ত্রী আসানসোল পুরসভাকে বঞ্চিত করেছে। এই অভিযোগে ফিরহাদ হাকিমকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করে ডিসেম্বরে চিঠি দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এরপরই ১৭ ডিসেম্বরে একে একে পশ্চিম বর্ধমানের তৃণমূল জেলা সভাপতি ও আসানসোলের পুর প্রশাসকের পদ ছেড়ে দল ছাড়ার ঘোষণাও করেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তবে বাবুল সুপ্রিয়, অগ্নিমিত্রা পাল, সায়ন্তন বসুদের বিরোধিতায় সেই সময় বিজেপিতে যোগ দেওয়া হয়নি পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়কের।


দীর্ঘ টালবাহানার পর, অবশেষে মঙ্গলবার গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন জিতেন্দ্র। সদ্য তাদের দলে যোগ দেওয়া নেতার বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিক্ষোভকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই জানান, ‘‘পরিবর্তন আসন্ন, কয়েকমাসের অপেক্ষা, ভয় পেয়ে ওরা এরকম বলছে, নরেন চক্রবর্তীকে সাবধান করে দিচ্ছি শুধরোন, নাহলে আমরাও ছেড়ে কথা বলব না ৷’’


 



 


এর আগে জিতেন্দ্র তিওয়ারি পদ্ম শিবিরে যেতেই গোবর জল দিয়ে তাঁর অফিস শুদ্ধকরণ করে তৃণমূল।