কলকাতা: করোনা আবহেই দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিধানসভা ভোট। সেই ভোটের আগে বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প এবার সর্বজনীন। রাজ্যের সব মানুষ বিনা খরচে পাবেন সরকারি স্বাস্থ্য বিমার সুযোগ।


বৃহস্পতিবার নবান্নে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের স্মার্ট কার্ড প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, এখন থেকে এই ক্যাশলেস প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সব মানুষ। মমতা বলেন, বাংলার প্রত্যেক পরিবার প্রতি মানুষকে ১০০% মানুষকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় নিয়ে আসছি। যারা অন্য কোনও স্কীমে নেই। তারা সবাই পাবে। সবাই। দুয়ারে সরকার বাড়ি বাড়িতে যাবে তখন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করবেন।


সরকারি সূত্রের খবর, এতদিন যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় ছিলেন না, তাঁরা এখন নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। ১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে কাজ। কার্ড দেওয়া হবে গৃহকর্ত্রীর নামে। সেই কার্ডের আওতায় থাকবেন পরিবারের বাকি সদস্যরা।


বিমার ঊর্ধ্বসীমা ৫ লক্ষ টাকা। তবে পরিবারের সদস্যদের মাথাপিছু ৫ লক্ষ টাকা বিমার সুবিধা পাওয়া যাবে না। পরিবারপিছু মিলবে ৫ লক্ষ টাকার ক্যাশলেস চিকিত্সার সুযোগ।


রাজ্যের সব সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি, বহু বেসরকারি হাসপাতাল, দিল্লির এইমস এবং ভেলোরে এই কার্ডের সুবিধা নেওয়া যাবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, এর জন্য বাড়তি ২ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে রাজ্যের।


সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি ও সিপিএম। বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যের কোষাগার ধুঁকছে। মাথার ওপর ঋণের বোঝা। স্রেফ ইগো স্যাটিসফাই করার জন্য আরও ঋণের বোঝা চাপানো হচ্ছে মাথার ওপর।


সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ডিজিটাল রেশন কার্ডই দেওয়া গেল না, যাওয়ার আগে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেবেন, দেখতে হবে কাটমানি আছে কি না।


কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে ফের মোদি সরকারকে বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, জিএসটি বাবদ সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা পায় রাজ্য। বকেয়া না দিয়ে শুধুই বড় বড় কথা বলা হচ্ছে। জিএসটি বাবদ টাকা তুলেছ, কেন দেবে না? আম্ফানে বলল দেবে এখনও দিল না। ১০০০ কোটি টাকা যেটা দিয়েছে ওটা অ্যাডভানস। ওটা আবার কেটে নেবে।


স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের পাশাপাশি, রাজ্যের ঘোষণা, ডিসেম্বর থেকে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতা বাড়ানো হবে এক হাজার টাকা।