Suvendu Adhikari Resigns: মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন শুভেন্দু, মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-মন্ত্রীরা, শুরু জরুরি বৈঠক
এদিন সকালে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেল মারফৎ সিদ্ধান্ত জানান তিনি। ই-মেলের কপি পাঠান রাজ্যপালকেও
শুভেন্দুর পদত্যাগের সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক। এমনটাই জানালেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি জানিয়ে রাখলেন, শুভেন্দু এলে বিজেপিরই লাভ। শুভেন্দুকে গণ আন্দোলনের ফসল বলেও উল্লেখ করেন মুকুল।
একইসঙ্গে তৃণমূলে "পিকে-শাসন"-কেও কটাক্ষ করেন তিনি। মুকুল বলেন, ‘তৃণমূলে এখন যা কিছু, তা পিকে। নির্বাচিত প্রতিনিধি কীভাবে চলবে, তা বলার কে পিকে? পিকে কি দলের পদাধিকারী? নাকি বেতনভুক কর্মচারী?
তাঁর মতে, ‘তৃণমূল সরকারে এত অসন্তোষ যে আর কেউ থাকতে চাইছেন না।’
শুভেন্দুর মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগের পরেই কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সুব্রত বক্সি, অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম। পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও কিছু মন্ত্রীর যাওয়ার কথা। কালীঘাটে বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী। রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী নিয়ে আলোচনায় সম্ভাবনা।
মাননীয় পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী,
আমি হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদে ইস্তফা দিচ্ছি। দ্রুত এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার বিষয়ে পদক্ষেপ করা হোক। আমি ই-মেল করে রাজ্যপালকেও এবিষয়ে জানিয়েছি। যাতে তিনি তাঁর দিক থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারেন।
রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। সাধ্য মতো দায়বদ্ধতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে সেই কাজ করার চেষ্টা করেছি।
শুভেন্দু অধিকারী
আমি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করছি। দ্রুত এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। আমি ই-মেল করে রাজ্যপালকেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। যাতে তিনি তাঁর দিক থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
আপনাকে ধন্যবাদ, রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। যথাসাধ্য দায়বদ্ধতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি।
শুভেন্দু অধিকারী
আমি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করছি। দ্রুত এই পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হোক। আমি ই-মেল করে রাজ্যপালকেও পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছি। যাতে তিনি তাঁর দিক থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন।
আপনাকে ধন্যবাদ, রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। যথাসাধ্য দায়বদ্ধতা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সঙ্গে মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি।
শুভেন্দু অধিকারী
'অনেকগুলি পদে আছি, তাই ব্যক্তিগত আক্রমণ হচ্ছে। সে কারণেই পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত।’ এমনটাই জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীর পরিবারসূত্রে।
এদিন সকালে রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীকে ই-মেল মারফৎ সিদ্ধান্ত জানান তিনি। ই-মেলের কপি পাঠান রাজ্যপালকেও।
‘হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান থেকেও পদত্যাগ করেন তিনি।
হলদিয়া ডেভেলপমেন্ট অথরিটির চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারীর।
মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন তিনি। ই-মেলে পদত্যাগপত্রের কপি পাঠিয়েছেন রাজ্যপালকেও। শুভেন্দুর পদত্যাগপত্রের প্রাপ্তি স্বীকার করেছেন রাজ্যপাল।
‘রাজ্যের মানুষের সেবার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ’ চিঠিতে লিখলেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, এখনই বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না শুভেন্দু।
মন্ত্রিত্বে থেকে কেন অরাজনৈতিক সভা? দেখা দেয় বিতর্ক। বিতর্কের জেরেই মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ, জানিয়েছেন ঘনিষ্ঠ মহলে।
রাজ্য মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানালেন সিদ্ধান্ত। বললেন, ‘রাজ্যের মানুষের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ’।
প্রেক্ষাপট
পূর্ব মেদিনীপুর ও কোচবিহার: শুভেন্দুকে ঘিরে আরও বাড়ল জল্পনা। সরকারি নিরাপত্তা ছেড়ে দিচ্ছেন পরিবহণমন্ত্রী। প্রায় জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেতেন শুভেন্দু। নিজের পাইলট কার ও এসকর্ট ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন পরিবহণমন্ত্রী।
এদিকে, দলবদলের জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়ে এদিন সকালে কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে দিল্লি গেলেন কোচবিহারের দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামী। সূত্রের খবর, শীঘ্রই মিহির গোস্বামী বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
এর আগে গতকালই হুগলি রিভার ব্রিজ কমিশন (এইচআরবিসি) চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। সেই জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংগঠনের শীর্ষ পদাধিকারীদের একাংশের কাজকর্মে শুভেন্দু অধিকারী যে ক্ষুব্ধ, তা আর গোপন নেই। বেশ কিছুদিন ধরেই শুভেন্দু বনাম তৃণমূলের "ঠান্ডা লড়াই" চলছিলই। দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, বরফ গলাতে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় ২ দফায় শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু এখনও বেরোয়নি রফাসূত্র।
তারমধ্যে গত পরশু, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ সিরাজ খান। এরপরই বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর জন্যও দরজা খোলা।
ঠিক তার আগের দিন, অর্থাৎ ২৪ তারিখ শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ আরও দুই নেতার নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহার করে রাজ্য প্রশাসন। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি ও তাঁর ছেলের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে প্রশাসন। পুরুলিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি সৃষ্টিধর মাহাতো ও তাঁর ছেলে তথা বলরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য সুদীপ মাহাতোর নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেয় রাজ্য সরকার।
তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও তাঁর সাম্প্রতিক কোনও সভা-সম্মেলনে তৃণমূলের প্রতীক, ব্যানার, ফেস্টুন কিচ্ছু দেখা যাচ্ছিল না! তাঁকে নিয়ে রাজনৈতিক জল্পনার স্রোত প্রতিদিনই বাড়ছে। জেলায় জেলায় দাদার অনুগামী নামে নানা ধরণের পোস্টারেরও সংখ্যাও বেড়ে চলেছে।
এদিন সকালে দার্জিলিঙের চকবাজার ও কার্শিয়ঙে শুভেন্দুর ছবি সহ আমরা দাদার অনুগামী লেখা পোস্টার দেখা যায়। এর আগে দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শুভেন্দুর অনুগামীদের পোস্টার দেখা যায়।
অন্যদিকে, তৃণমূল বিধায়ক মিহির গোস্বামীর বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আরও প্রবল হল। আজ সকালে দিল্লি পৌঁছন কোচবিহারের দক্ষিণের বিধায়ক।
তাঁকে স্বাগত জানান কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। সূত্রের খবর, আজই অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করে বিজেপিতে যোগদানের বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন তৃণমূল বিধায়ক।
আজ অথবা দু’-একদিনের মধ্যেই মিহির গোস্বামী বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে সূত্রের খবর। এনিয়ে তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -