দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আজ থেকে শুরু হল রাজ্য সরকারের দুয়ারে ত্রাণ কর্মসূচি। প্রথম পর্যায়ে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণের জন্য ৩৪টি ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। ১৮ জুন পর্যন্ত আবেদন পত্র নেওয়া হবে। এরপর আবেদনের ভিত্তিতে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা জমা করবে রাজ্য সরকার।
গত ২৮ তারিখ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে আবেদন, তারপর আবেদন পত্রের যাচাই। ১ জুলাই থেকে সরাসরি উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে অর্থ।
২৭ মে প্রকাশিত সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ১৯ থেকে ৩১ জুন পর্যন্ত জমা পড়া আবেদনগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এরপর পয়লা জুলাই থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে সরকারি সাহায্যের টাকা।
কোন ধরনের ক্ষতির ক্ষেত্রে, কত সাহায্য করা হবে, তাও বলা হয়েছে নোটিসে। ফসল ক্ষতির ক্ষেত্রে কৃষক ১ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পাবেন। পানের বরজে ক্ষতির ক্ষেত্রে প্রতি কৃষক পাবেন ৫ হাজার টাকা। ইয়াসের দাপটে বাড়ি পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হলে ২০ হাজার টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা সাহায্য করা হবে।
ইয়াসের তাণ্ডবে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী অঞ্চল। সেখানকার মত্স্যজীবীদের কথা মাথায় রেখে, তাঁদের নৌকা সম্পূর্ণ ভেঙে গেলে ১০ হাজার টাকা এবং নৌকা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হলে ৫ হাজার টাকা ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া মত্স্যজীবীদের অন্যান্য সরঞ্জামের ক্ষতি হলেও ৩০০ থেকে ২৬০০টাকা পর্যন্ত সরকারি সাহায্য দেওয়া হবে। ঝড়ের দাপটে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আওতায় থাকাদের ক্ষতির ক্ষেত্রেও ৪ হাজার ১০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য করা হবে।
‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের জন্য একাধিক টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে নবান্ন। সবার ওপরে রয়েছে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন স্টেট লেভেল টাস্ক ফোর্স। জেলাস্তরে জেলাশাসকের নেতৃত্বে তৈরি করা হচ্ছে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল টাস্ক ফোর্স। এছাড়াও মহকুমাশাসকের অধীনে সাব ডিভিশন লেভেল এবং ব্লক স্তরে বিডিওর অধীনে ব্লক লেভেল টাস্ক ফোর্স থাকছে। কলকাতায় ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের তত্ত্বাবধানে থাকবে পুরসভার তরফে তৈরি টাস্ক ফোর্স।