সুনীত হালদার, হাওড়া:  প্লাস্টিকের পাইপ তৈরির কারখানায়  তিন শ্রমিকের অসুস্থতা ঘিরে উত্তেজনা। কারখানা বন্ধ করে মালিককে ঘিরে বিক্ষোভ। ডোমজুড়ের পায়রাটুনি গ্রামের ঘটনা।শ্রমিকদের অভিযোগ, প্লাস্টিকের পাইপ তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিন  জন। তাঁদের মধ্যে ২ জন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও আরেকজন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন। গতকাল এই খবর জানাজানি হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা কারখানার মালিককে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। যদিও ক্ষতিকর রাসায়নিকে শ্রমিকদের অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কারখানা মালিক।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় একটি প্লাস্টিকের পাইপ তৈরির কারখানায় বেশ কিছুদিন ধরে শ্রমিকরা কাজ চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। তাঁদের গা বমি ভাব, মাথা ঝিমঝিম করা, খিদে না পাওয়া, চুলকানি সহ একাধিক লক্ষণ দেখা দেয়। ক্রমশই তাদের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। প্রথমে তাঁদের স্থানীয় চিকিৎসকদের দেখানোর পর তাঁদের মধ্যে দুজনকে ভর্তি করা হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। একজন বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। সেখানেই তাদের চিকিৎসা চলছে। এদিকে, এই অসুস্থতার খবর চাউর হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা কারখানার গেটে ভিড় জমাv। তাঁরা কারখানার মালিকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ক্ষুব্ধ জনতা কারখানার শাটার ফেলে বন্ধ করে দেয়। এলাকার শ্রমিকদের পরিবারের এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই কারখানায় প্লাস্টিকের পাইপ তৈরিতে নানা ধরণের রাসায়নিক দ্রব্যর ব্যবহার করা হয়। সেইখান থেকে যে বিষাক্ত গ্যাস বেরোয় তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই শ্রমিকরা। তাঁরা অবিলম্বে ওই কারখানার মালিকের থেকে ক্ষতিপূরণ ও অসুস্থদের চিকিৎসা খরচ দাবি করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। 
যদিও কারখানার মালিক যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর বক্তব্য, তারা নামি ব্রান্ডের রাসায়নিক ব্যবহার করে পাইপ তৈরি করেন। তাই বিষাক্ত গ্যাস বের হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।  তাই শ্রমিকরা রাসায়নিক গ্যাসে অসুস্থ হননি বলে দাবি করেন কারখানার মালিক। সেইসঙ্গে অসুস্থ শ্রমিকদের চিকিৎসার খরচ দিতেও অস্বীকার করেছেন তিনি।