কলকাতা: গা ঢাকা দিয়ে থাকা বিমল গুরুঙ্গকে শুক্রবার ধরতে গেলে সিকিম পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে দাবি করল রাজ্য পুলিশ। সিকিম পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয় বলেও জানিয়েছে তারা।
রাজ্য পুলিশ সূত্রে দাবি, শুক্রবার সিকিমের নামচি থানা এলাকার মাঝিটারে অভিযান চালায় পুলিশ। নামচির একটি হোটেলে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বসেছিলেন মোর্চা সভাপতি।


অভিযোগ, হোটেলের কাছাকাছি পৌঁছতেই তাদের বাধা দেয় সিকিম পুলিশ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে দু’পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়।
রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, হোটেলের কাছে পৌঁছতেই পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বৃষ্টি শুরু করে ফুপ দরজি লামা এক সমর্থক। পাল্টা গুলি চলে। এই সুযোগেই হোটেলের পিছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যান গুরুঙ্গ।

মোর্চার দাবি, পুলিশের গুলিতে তাঁদের এক সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কালিম্পংয়ের পুলিশ সুপার ও পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে সিকিম পুলিশ।

পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এও দাবি, সিকিমে ঢোকার পর সেখানকার পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল এবং তাদের পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের গাড়ির নম্বরও জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও সিকিম পুলিশ কোনও সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ।

প্রসঙ্গত, আগেই গোর্খাল্যান্ডের সমর্থনে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিং। এবার সিকিম পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ। ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে সিকিম-পশ্চিমবঙ্গ সংঘাত।

১৪ জন মোর্চা নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের ৬ জনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। বাকিদের জেল হেফাজত হয়েছে।

এদিকে আলিপুরদুয়ার থেকে সিকিমগামী একটি গাড়ি থেকে ১৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পাহাড় ও সংলগ্ন এলাকায় ধরপাকড় আরও তীব্র করছে পুলিশ।