তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: ফের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানা এলাকার মানিকবাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের কাষ্ঠডাঙ্গা গ্রাম। গতকাল সন্ধের মুখে কাষ্ঠডাঙ্গা গ্রামে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী গেলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বিধায়কের গাড়ি ঘিরে স্থানীয়দের একাংশ গো-ব্যাক শ্লোগান দিতে শুরু করে। নিজের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সহযোগিতায় বিধায়ক কোনওক্রমে এলাকা ছাড়তেই স্থানীয় বিজেপি ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় দুপক্ষের মোট এগারো জন আহত হন। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় রাতেই মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।


স্থানীয় সূত্রে খবর, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী গতকাল সন্ধ্যের আগে কাষ্ঠডাঙ্গা এলাকার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সোনামুখীর নবনির্বাচিত বিধায়ক। তিনি এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে যাওয়ার সময়ই ওই কর্মীর বাড়ি ঘিরে বিধায়ককে উদ্দেশ্য করে গো-ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। এরপরেই বিধায়ক এলাকা ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেই সময় বিধায়কের গাড়ি ঘিরেও স্লোগান চলতে থাকে। বিধায়কের সাথে থাকা দু’জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তারক্ষী গাড়িটি কোনওক্রমে ওই এলাকা থেকে বের করে আনেন। এরপরই ওই এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ।


এই ঘটনায় বিজেপির সাতজন এবং তৃণমূলের চারজন আহত হন। আহতদের প্রথমে সোনামুখী গ্রামীণ হাসপাতালে এবং পরে চারজনকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।


বিজেপি বিধায়কের দাবি, তৃণমূলের লোকজন তাঁকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগান দেয়। পরে বিজেপি কর্মীদের উপর নৃশংসভাবে হামলা চালানো হয়। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, বিজেপি বিধায়ক নির্বাচনের আগে নিজের দলের কর্মীদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পরেও তিনি সেই প্রতিশ্রুতি পালন না করায় দলের কর্মীরাই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূলের স্থানীয় কর্মীরা বিজেপি-র বিক্ষোভকারীদের থামাতে গেলে বিজেপি কর্মীরা চার তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে।