কমলকৃষ্ণ দে, ভাতার (পূর্ব বর্ধমান) : গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপ অক্ষরেখা। কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় চলছে দফায় দফায় বৃষ্টি। এর জেরে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে বিপর্যস্ত জনজীবন। প্রবল বৃষ্টিতে জলের তোড়ে পূর্ব বর্ধমানে ভেসে গেল অস্থায়ী সেতু। ভাতারের কামারপাড়া নারায়ণপুর গ্রাম এলাকার ঘটনা। সেতুটি ভেঙে যাওয়ার ফলে পূর্ব ও পশ্চিম ভাতারের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উল্লেখ্য, ভাতার-বর্ধমান রুটের প্রধান রাস্তা এটি।


এই রাস্তার নারায়ণপুর গ্রামের কাছে পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। তার জন্যই অস্থায়ীভাবে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। সেই সেতু ভেঙেই বিপত্তি। অভিযোগ, ঠিকভাবে অস্থায়ী সেতুটি নির্মাণ না হওয়ায় জলের তোড়ে ভেসে গেছে সেতুটি।


প্রতিদিন এই রুটেই চলে একাধিক বাস। চলে অন্যান্য যানবাহনও। তাই সেতু ভেঙে যাওয়ায় সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত যান চলাচল। চরম সমস্যায় আশপাশের প্রায় ১৫টি গ্রামের বাসিন্দা সহ নিত্যযাত্রীরা।


সেতু ভাঙার খবর মিলতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। দু'-এক দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল জানান, এই নারায়ণপুর গ্রামে বহু পুরোনো একটি ব্রিজ ছিল। সেটি ভগ্ন দশায় পরিণত হয়েছিল। তাই নতুন ব্রিজের অনুমোদন দেওয়া হয়। পাশেই একটি অ্যাপ্রোচ রোড তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু, ভালভাবে হয়নি সেটি। নির্মাণকারীদের তা বলাও হয়েছিল। চারটি পাইপ দিয়ে জল পাস করবে না। আরও পাইপ দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু, ওরা তাতে কর্ণপাত করেনি। তার ফলে দেখা যাচ্ছে। এখানকার মানুষকে দৈনন্দিন কাজে অনেকবার কামারপাড়া যেতে হয়। তাই বিধায়ককে অনুরোধ করব, দ্রুত যাতে এটার ব্যবস্থা করা হয়। 


এদিকে মঙ্গলবার থেকে টানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে বাঁকুড়ার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া একাধিক নদী। জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে গন্ধেশ্বরী,  দ্বারকেশ্বর, শীলাবতি, কংসাবতি নদীর। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ভাদুল ও মীনাপুর সেতুর উপর দিয়ে বইছে জল। ফলে, আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।