সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: জোড়া ঘূর্ণাবর্তের পাশাপাশি সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা। তার জেরে আজও দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কলকাতায় প্রধানত মেঘলা আকাশ ।হালকা থেকে মাঝারি কয়েক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে দু’-এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী কয়েক ঘণ্টায় দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। 


দক্ষিণবঙ্গের ১০টিরও বেশি জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে, কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। তবে আশ্বিনের শুরুতেও পুরোপুরি কাটছে না বৃষ্টি-দুর্ভোগ। আগামী সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ফের ঘূর্ণাবর্ত তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।


আরও পড়ুন, 'আশা করছি বোনের বিরুদ্ধে প্রচারে আসবেন না', বাবুলকে বার্তা প্রিয়ঙ্কার


রবিবার কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ প্রধানত মেঘলাই থাকবে। শহর ও শহরতলীর দিনের তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার সর্বাধিক ৯৯ শতাংশ, ন্যূনতম ৮৮ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০.৭ শতাংশ। 


আরও পড়ুন, সাতসকালে মা উড়ালপুল থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত্যু এক ব্যবসায়ীর


রবিবার পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমান বীরভূমে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। মায়ানমার সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এর অবস্থান। আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় এটি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে অবস্থান করবে। ফলে, আরও একবার উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ার আশঙ্কা। 


রুপনারায়নের জল ঢুকে ফের প্লাবিত হুগলির খানাকুলের তিন-চারটি গ্রাম। জল ঢুকেছে বেশ কিছু বাড়ির ভেতরেও। ইতিমধ্যেই অনেকে বাড়ি ছেড়ে স্কুল ও উঁচু বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির জলের পাশাপাশি দ্বারকেশ্বর ও শিলাবতি নদীর জলের চাপে  সারিয়ে তোলা ভাঙা বাঁধ ভেঙে ফের জল ঢুকছে হুহু করে। তার ফলেই জলমগ্ন হয়ে পরেছে তিন চারটি গ্রামের বহু বাড়ি। জলের তলায় চলে গিয়েছে চাষের জমিও। ফলে ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন কৃষকরা। ফলে নতুন করে আতঙ্কিত খানাকুলের এই সমস্ত গ্রামের মানুষ।