মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাঁকসা: রাজ্য় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসায় চলল ডেঙ্গি সচেতনতা অভিযান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ডেঙ্গি ও অন্যান্য মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতন করে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে।
ডেঙ্গি সচেতনতার প্রচার এবং পতঙ্গবাহিত রোগ যাতে না ছড়িয়ে পড়ে এবং ডেঙ্গি মশার উপদ্রব যাতে না বাড়ে সে জন্য বর্ষা শুরুর আগেই সমস্ত পঞ্চায়েত ও পৌরসভাগুলিকে তৎপর থাকার কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার।
সেই অনুযায়ী, বিভিন্ন পঞ্চায়েতে এবং পুরসভাগুলিতে শুরু হয়েছে ডেঙ্গি সচেতনতা প্রচারাভিযান এবং মশার লার্ভানাশক স্প্রে করার কাজ।
বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের কর্মীরা কাঁকসার বিদবিহার অঞ্চলের ফুলঝোড় এলাকাজুড়ে ডেঙ্গি সচেতনতার প্রচার করেন।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোলা জায়গায় জল জমা রাখতে মানা করা হয়। চৌবাচ্চা খোলা অবস্থায় রাখতেও মানা করা হয়। বাসিন্দাদের বলা হয়, জলের ট্যাঙ্কগুলিকে ঢাকনা দিয়ে রাখতে।
বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য গিরিধারী সিনহা জানান, সমস্তরকম ভাবেই ডেঙ্গি সচেতনতায় তৎপর বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত। যাতে করে জনসাধারণের কোনওরকম সমস্যা না হয় এবং মশাবাহিত রোগ না হয়, সেই জন্য বিভিন্ন সর্তকতা অবলম্বন করেছে পঞ্চায়েত। এইভাবে স্প্রে এবং ডেঙ্গি সচেতনতা হওয়ায় খুশি এলাকাবাসীরা।
এদিকে, রাজ্যের ডেঙ্গি-উপদ্রুত জেলাগুলির তালিকায় একেবার ওপরের দিকে থাকা উত্তর ২৪ পরগনায় চলতি বছর উপদ্রব অনেকটাই কম। যে কারণে, স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
২০১৯-এ উত্তর চব্বিশ পরগনায় ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছিল ডেঙ্গি। সেবার গোটা জেলায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। সংখ্যাটা অনেক কমে আসে ২০২০-তে। গতবছর মাঝ বর্ষা পর্যন্ত মশা বাহিত রোগের কবলে পড়েছিলেন ১০০-র কাছাকাছি মানুষ।
এবছর ৭ জুলাই পর্যন্ত, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন আরও কম। ৪৪ জন। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে ৩৬ জন, এবং গ্রামাঞ্চলে ৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে দাবি।
পাশাপাশি, ২০২০-র প্রথম ৬ মাসের তুলনায়, এবছর ওই সময়ে কলকাতায় ডেঙ্গির সংক্রমণ কমেছে প্রায় ৫০ শতাংশ। করোনা পরিস্থিতির জন্যই এই সুফল। কার্যত সেটাই মনে করছেন পুরকর্তারা।