অমিত জানা, পশ্চিম মেদিনীপুর: জনবহুল এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জরাজীর্ণ জলের ট্যাঙ্ক শুধুমাত্র সতর্কীকরণ ফ্লেক্স লাগিয়ে দায় সারল কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম মেদিনীপুর দাঁতন ওয়াটার সাপ্লাইয়ের যে জলের ট্যাঙ্কটি রয়েছে বা জলাধারটি রয়েছে তার অধিকাংশ পিলারই জরাজীর্ণ। কোথাও পলেস্তারা খসে পড়ছে তো কোথাও পিলারের রড বাইরে দেখা যাচ্ছে। এই ওয়াটার সাপ্লাই জলের ট্যাঙ্কের নীচের দিক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত রয়েছে সাধারণ মানুষের। প্রচুর যানবাহনও চলাফেরা করে। প্রশাসনের তরফে শুধু জল ট্যাঙ্কের সামনের গেটে একটি সতর্কীকরণ ফ্লেক্স টাঙ্গিয়ে দায় সেরেছেন কর্তৃপক্ষ। তাতে লেখা, 'সাবধান! জলাধারটি বিপদজনকভাবে রয়েছে। ভেতরে প্রবেশ নিষেধ।'
এদিকে জলাধারটির এই অবস্থা হওয়ায়, এই মুহূর্তে সেই জলাধারটি থেকে জল নিতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে। সরাসরি সাপ্লাই করা হচ্ছে, পাম্প অপারেটর এমনই জানিয়েছেন। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দা প্রতিমা দাস বলেন, 'জলাধারে এমন একটা কাগজ লাগিয়ে দিয়ে গিয়েছে। কিন্তু জানি না এটা কারা লাগিয়েছে। আমার বাড়িটাই ওই জলাধারের একদম সামনে। তাই আতঙ্কও আমার বেশি। কারা ফ্লেক্স লাগিয়েছে জানি না। কিন্তু ভয় ভয় তো থাকতেই হয়। কিছু হলে তো ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে।'
পাম্প অপারেটর বিশ্বনাথ পাল জানান, 'আমাদের জল তুলতে বারন করে দিয়েছে। জল তুললে যদি জলাধারটি ভারসাম্য না রাখতে পারে তার জন্য। এই মুহূর্তে বিপদজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে জলাধার। তার জন্যই সরাসরি ওয়াটার সাপ্লাইয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুনেছি চার-পাঁচটি পিলার ড্যামেজ হয়েছে। তবে আমাদের বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। পিলারগুলো টেস্টিং করতে এসেছিল। এই পরিস্থিতিতেই আমাদেরও কাজ করতে হচ্ছে।'
দাঁতনের বিডিও চিত্তজিৎ বসু জানান , 'p.h.e. দফতর পুরো বিষয়টা পর্যবেক্ষণ করে। স্থানীয় মানুষজন তাঁদের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। আমরা স্থানীয় ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে phe দফতর এর সঙ্গে কথা বলে সেটা যাতে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, ভবিষ্যতে যাতে দুর্ঘটনা না ঘটে সেই আশঙ্কা যাতে এড়ানো যায় সেই ব্যবস্থা করার চেষ্টা করব। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার আছে আমরা পাঠিয়ে সেটাও দেখে নিচ্ছি। ওই জলাধারটি দ্রুত মেরামত করে আবার পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় তার ব্যবস্থা করা হবে।'