বোলপুর: ছেলের পদ কেন কেড়ে নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ?

 

জানতে চেয়ে এভাবেই উপাচার্যর ঘরের সামনে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখালেন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ অনুপম হাজরার বাবা।

 

অসন্তোষের সূত্রপাত ১৭ মাস আগে। সুশান্ত দত্তগুপ্ত উপাচার্য থাকাকালীন বিশ্বভারতীতে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হন অনুপম। শুরু হয় সিবিআই তদন্ত। আর এই প্রেক্ষাপটেই বিশ্বভারতীর অধ্যাপক পদ হারান সাংসদ। অভিযোগ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্যই নিয়মবিরুদ্ধভাবে তাঁকে অধ্যাপক পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

 

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ অবশ্য অনুপম হাজরার অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, অসমের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করতেন অনুপম হাজরা। লিয়েনে সেখান থেকে বিশ্বভারতীতে এসে অধ্যাপক হন। তবে, বলা হয়েছিল, কাজে খুশি না হলে তাঁকে স্থায়ী পদে নিয়োগ করা হবে না।

 

এরপরই ৩০টি প্রশ্নের জবাব চেয়ে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন অনুপম। কিন্তু অভিযোগ, এখনও তার কোনও জবাব পাননি তিনি।

 

এই প্রেক্ষাপটেই বাবা দেবনাথ হাজরাকে নিয়ে শুক্রবার বিশ্বভারতীর অস্থায়ী উপাচার্য স্বপন দত্তর অফিসে যান বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ। অনুপমের দাবি, তাঁর সঙ্গে কথাই বলতে চাননি উপাচার্য। এরপরই উপাচার্যর ঘরে ঢোকার মুখে শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ জুড়ে দেন সাংসদের বাবা।


 

 

এই পরিস্থিতিতে উপাচার্য ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে আটকাতে গিয়ে সামান্য চোট পান অনুপমের বাবা।

 

বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ সব প্রশ্নের জবাব দেবেন, এই আশ্বাস পেয়ে ঘণ্টাখানেক পর অবস্থান তুলে নেন বোলপুরের তৃণমূল সাংসদের বাবা।