মালদা: চলন্ত ট্রেনে ফের দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্য। আপ তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেসে মহিলা যাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ। প্রতিবাদ করে আক্রান্ত সহযাত্রী। পাথরের ঘায়ে ফাটল মাথা। তিনদিন পরেও অধরা দুষ্কৃতীরা। ফের প্রশ্নের মুখে রেলের যাত্রী নিরাপত্তা।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সন্ধেয়।
নিউ জলপাইগুড়িগামী তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস পৌছয় মুর্শিদাবাদের খাগড়াঘাট স্টেশনে। যাত্রীদের দাবি, স্টেশনে পৌঁছতেই টিকিট না থাকা সত্ত্বেও কয়েকজন যুবক জোর করে ট্রেনের এস-৬ কামরায় উঠে পড়েন। অভিযোগ, প্রতিবাদ করায় কয়েকজন মহিলা যাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ করে তারা। রুখে দাঁড়ালে সহযাত্রীদের বেধড়ক মারধর করা হয়।
এস-৬ কামরার যাত্রীদের দাবি, চিৎকার করে সাহায্য চাইলেও একজন রেল পুলিশেরও দেখা মেলেনি। এমনকী, রেলের হেল্পলাইনে ফোন করেও কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। পরে নিমতিতা স্টেশনে ট্রেন থামতে সেখানে নেমে যান দুষ্কৃতীরা। এরপর বাইরে থেকে কামরার যাত্রীদের লক্ষ্য করে শুরু হয় পাথরবৃষ্টি।
পাথরের ঘায়ে মাথা ফাটে শ্যামপ্রসাদ পাণ্ডে নামে সহযাত্রী এক স্কুলশিক্ষকের। মালদা স্টেশনে পৌঁছে শুরু হয় যাত্রী বিক্ষোভ।
জিআরপিতে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর এনজেপির উদ্দেশে রওনা দেয় ট্রেন। কিন্তু এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা।
যেখানে দিন দিন মহার্ঘ হচ্ছে রেল যাত্রা। দফায় দফায় বাড়ছে পরিষেবা কর, সেখানে কেন পরিষেবার এই হাল? কেন যাত্রী নিরাপত্তা তলানিতে? বৈধ টিকিট না থাকা সত্বেও কীভাবে সংরক্ষিত কামরায় উঠল যাত্রীরা? কী করছিল নিরাপত্তারক্ষীরা? প্রশ্ন অনেক, কিন্তু উত্তর নেই।