নয়াদিল্লি: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু-পাচার রোধে আরও কঠোর এবং সক্রিয় হবে বিএসএফ।


সীমান্তে গরু পাচারের বিষয়টিকে মঙ্গলবার ‘সংগঠিত অপরাধ’ বলে উল্লেখ করে বাহিনীর প্রধান কে কে শর্মা জানান, এই ক্ষেত্রে এফআইআর দাখিল করা থেকে শুরু করে অভিযুক্তদের চিহ্নিতকরণ এবং পাচার রোধ করতে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যাবে বিএসএফ-কে।

তিনি বলেন, আমরা এই সমস্যা সমাধান করার জন্য সর্বান্তকরণে চেষ্টা চালাচ্ছি। এর জন্য সব পক্ষের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। এব্যাপারে বাংলাদেশ সীমান্তে মোতায়েন বাহিনীর ফিল্ড কম্যান্ডার এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় গড়ে তুলতে।

শর্মা জানান, ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি, স্থানীয় পুলিশের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। বিএসএফ প্রধানের মতে, গরু-পাচারের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা স্রেফ ক্যুরিয়ার। অল্প টাকার বিনিময়ে এই কাজ করে।

তিনি জানান, সাম্প্রতিক অতীতে এই অপরাধের জন্য শতাধিক মামলা রুজু করা হয়েছে। বিএসএফ-এর দাবি, এই অঞ্চল দিয়ে প্রতি বছর কয়েক শ’কোটি টাকার বেআইনি গরু-পাচার হয়।

শর্মা যোগ করেন, আগে এর উৎসের সন্ধান করাটা জরুরি। জানা দরকার, কে বা কারা টাকার জোগান দিচ্ছে। এর জন্য বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবি) সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তাঁর দাবি, প্রয়োজনীয় অনুসন্ধান বা তদন্ত করার ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। যার ফলস্বরূপ, অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে এই চক্রের চাঁই-রা। তিনি জানান, এবার পুলিশের সাহায্য অপরাধীদের কাঠগড়ায় যাতে তোলা সম্ভব হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

শর্মা জানান, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে গো-হত্যা নিষিদ্ধ নয়, তাই অন্য রাজ্য থেকে সেখানে গরু আমদানি হওয়ার ওপরও কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। সেই ফাঁক দিয়েই সীমান্ত পার করে এদেশে ঢুকছে গরু।

প্রসঙ্গত, প্রায় ৪,০৯৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে গরু-পাচার রুখতে গিয়ে পাচারকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে গত এক বছরে নিহত হয়েছেন বিএসএফ জওয়ান। তেমনই মারা গিয়েছে প্রায় ১৫০ পাচারকারী।