দক্ষিণ ২৪ পরগনা: উলুবেড়িয়া থেকে তিলজলা, রাজ্যে একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে নির্যাতনের শিকার তরুণী। দাদা বলে ডাকতেন যাঁদের, শেষমেশ হয়ে গেলেন তাঁদেরই লালসার শিকার!
ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। বিষ্ণুপুর থানার বিদ্যানগরের বাসিন্দা এক তরুণী পুজোর বিসর্জন দেখে বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর দাবি, ফেরার পথে পাড়ার দুই দাদা কার্তিক জানা ও শুভেন্দু পালের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাসে বন্ধুকে ফিরে যেতে বলে দাদাদের সঙ্গে গ্রামের দিকে হাঁটতে থাকেন ওই তরুণী।
অভিযোগ, কিছুদূর যাওয়ার পর তরুণীকে জোর করে একটি নির্মীয়মাণ বাড়ির পিছনের জঙ্গলে টেনে নিয়ে যায় কার্তিক ও শুভেন্দু। সেখানে তরুণীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী, ঘটনার পর তাঁকে মুখ বন্ধ রাখতে ২ যুবক হুমকিও দেয় বলে দাবি অভিযোগকারিণীর।
কীভাবে সামনে এল এই ঘটনা? এলাকারই এক বাসিন্দার দাবি, সেদিন রাতে বাড়ি ফেরার সময় কার্তিক ও শুভেন্দুকে তিনি পালাতে দেখেন। সন্দেহ হওয়ায় নির্মীয়মান বাড়ির পিছনে গিয়ে মহিলাদের একপাটি জুতো পড়ে থাকতে দেখেন ওই গ্রামবাসী। এরপরই শুরু হয় হইচই। জুতো সনাক্ত করতেই স্পষ্ট হয়ে যায় গোটা বিষয়টি।
পরিবারকে গোটা ঘটনা খুলে বলেন নির্যাতিতা। রবিবার কার্তিক ও শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। যদিও, গোটা ঘটনাটি মিথ্যা বলে দাবি অভিযুক্তদের পরিবারের। ঘটনার পর থেকেই ফেরার দুই অভিযুক্ত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রুজু হয়েছে গণধর্ষণের মামলা।