চাকদা: কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ায় স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতন এবং তার জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার চাকদায়। অভিযুক্ত স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও মা-কে খুঁজে চলেছে সাড়ে তিন বছরের ছোট্ট মেয়ে।

সাড়ে তিন বছরের ছোট্ট মেয়েটা প্রায়শই দেখত, বাবা আর ঠাকুমা মিলে মা-কে বকছে। তবে এটা বুঝত না, এই বকাবকির কারণ সে-ই। মেয়ের জন্ম দিয়েছে বলেই তার মায়ের ওপর এত রাগ বাবা আর ঠাকুমার। অভিযোগ, সেই রাগ থেকেই দিনের পর দিন চলত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন। যা সহ্য করতে না পেরে সাড়ে তিন বছরের ছোট্ট মেয়েকে রেখে তার মা রবিবার আত্মঘাতী হন।

মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার চাকদা থানার বালিয়াডাঙা দুর্গাবাড়িতে। মৃতের নাম

বেবি রায়। ২০১২ সালে চাকদার কেবিএম এলাকার বাসিন্দা কৌশির রায়ের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বেবির বাপের বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ,

কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর থেকেই তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন স্বামী ও শাশুড়ি।

অভিযোগ, নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কয়েকদিন আগে বাপের বাড়ি চলে আসেন বেবি। পরে কৌশিকের আত্মীয়রা আবার বুঝিয়ে সুঝিয়ে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যান।

রবিবার হঠাৎ বেবির বাপের বাড়িতে একটি ফোন আসে। বলা হয়, তিনি অসুস্থ। কিন্তু, আত্মীয়দের দাবি, তাঁরা শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন, গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মেয়ের দেহ ঝুলছে।

বেবির স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

তাঁর স্বামী কৌশিক থানায় আত্মসমর্পণ করেন। শাশুড়ি শান্তি রায়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।