কোচবিহার: সম্ভ্রম রক্ষা করতে চলন্ত বাস থেকে তরুণীর ঝাঁপ দিয়ে আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল কোচবিহারের দেওয়ানহাট। রাজ্য সড়ক অবরোধ। চাপের মুখে ৭২ ঘণ্টা পর গ্রেফতার চালক ও কন্ডাক্টর।
ঠিক কী ঘটেছিল? শুক্রবার সন্ধেয় ধূপগুড়ির বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী ওই তরুণী দেওয়ানহাটের বাড়িতে ফিরছিলেন। তাঁর দাবি, দিনহাটাগামী একটি বাসে ওঠার পর, সেটি কিছুটা এগোতেই কন্ডাক্টর দরজা বন্ধ করে দেন। চালক দিনহাটাগামী বোর্ড বদলে ‘রিজার্ভ’ বোর্ড ঝুলিয়ে দেন। সন্দেহ হওয়ায় চিৎকার করে বাস দাঁড় করাতে বলেন তরুণী। কিন্তু, চালক বাসের গতি বাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ। তীব্র আতঙ্কে শেষমেষ কন্ডাক্টরকে ঠেলে বাসের দরজা খুলে ঝাঁপ মারেন তরুণী। ভেঙে যায় ডান পা।
তরুণীর বয়ানের ভিত্তিতে রবিবার রাতে কোচবিহার-দিনহাটা রুটের বাসটির খোঁজ পায় পুলিশ। সোমবার সেটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, বাস মালিক তাপস দে দেওয়ানহাটের বাসিন্দা। তাৎপর্যপূর্ণভাবে অভিযোগকারিণীর বাড়িও দেওয়ানহাটে! বাস মালিকের দাবি, বড়দিনেও বাস নিয়ে বেরিয়েছিল চালক ও কন্ডাক্টর। কিন্তু একটি ট্রিপের পরই বাস গ্যারেজে রেখে বেপাত্তা হয়ে যায় তারা। সুইচড অফ হয়ে যায় দু’জনেরই মোবাইল ফোন!
অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারির দাবিতে এদিন সকাল থেকে দেওয়ানহাটে কোচবিহার-দিনহাটা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তরুণীর আত্মীয় ও প্রতিবেশীরা। শেষ পর্যন্ত এদিন দেওয়ানহাট এলাকা থেকেই চালক হাফিজুল রহমান ও কন্ডাক্টর মৃণালচন্দ্র সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ।