বারুইপুর:  বারুইপুরে দিদিমা ও নাতনির রহস্যমৃত্যু। পুকুর থেকে উদ্ধার জোড়া মৃতদেহ, সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার মেয়ে। পুলিশি জেরার মুখে ভেঙে পড়ায় খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মেয়ে মুর্শিদা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে।

বারুইপুরের উত্তরভাগ এলাকায় থাকতেন আজিজুল মোল্লা, তাঁর স্ত্রী মুর্শিদা বিবি, ২২ দিনের মেয়ে এবং আজিজুলের প্রৌঢ়া শাশুড়ি। আজিজুলের দাবি, সোমবার রাতে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন, ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকানো। দালানে রক্তের দাগ।

আজিজুলের দাবি, বউ ও শাশুড়িকে বারবার ডেকেও তিনি সাড়া পাননি। জানালা দিয়ে দেখেন ঘর ফাঁকা। এরপর এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

তারপর স্ত্রী মুর্শিদার নাম ধরে ডাকাডাকি করতেই দূর থেকে তিনি সাড়া দেন, দাবি আজিজুলের। পাশের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে পাওয়া যায় তাঁকে।

আজিজুলের দাবি,  আরও কিছুক্ষণ পর খোঁজাখুঁজির পর দেখা যায়, বাড়ির কাছে পুকুরে তাঁর শাশুড়ির মৃতদেহ ভাসছে। তাঁর মাথায় ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন। পুকুর থেকে একটি শাবলও উদ্ধার হয়।

কিন্তু কী করে পাশের বাড়ির সেপ্টিক ট্যাঙ্কে গেলেন মুর্শিদা? শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের দাবি, লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়েন মহিলা। জানান, মা ও মেয়েকে তিনিই খুন করেছেন। যে জায়গায় ফেলা হয়েছে শাশুড়ির দেহ, সেখানেই ফেলা হয়েছে শিশুকন্যাকেও।

মঙ্গলবার সকালে তল্লাশি শুরু হয়ে পুকুরে। উদ্ধার হয় ২২ দিনের শিশুকন্যার মৃতদেহ।

ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সকাল থেকে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। বেলা সাড়ে বারোটা থেকে দু’ঘণ্টা ধরে বারুইপুর-ক্যানিংয়ে রাস্তা

পরে পুলিশ এসে দোষীদের শাস্তির আশ্বাস দিলে অবরোধ ওঠে।