অনির্বাণ বিশ্বাস, তাজপুর: ইয়াস-পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে পূর্ব মেদিনীপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কপ্টারে পৌঁছলেন রামনগরে। সেখান থেকে তিনি গেলেন তাজপুর। সেখানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ফলে কী ক্ষতি হয়েছে, সেটা ঘুরে দেখলেন অভিষেক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন মৎস্যমন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক অখিল গিরি। অভিষেক ইয়াস শেল্টারে গিয়ে স্থানীয় দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি হলে রেয়াত না করার হুঁশিয়ারিও দেন অভিষেক।
তাজপুর থেকে অভিষেক যাবেন কাঁথিতে। তিনি ঘুরে দেখবেন কাঁথি ২ নম্বর সমুদ্র উপকূলের এলাকা। ইয়াসের পরে এই এলাকার ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে খোঁজ নেবেন অভিষেক।
৭ দিন আগে বয়ে গিয়েছে ইয়াস। তাণ্ডবের ক্ষত ছড়িয়ে আছে গোটা তাজপুর জুড়ে। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জলধা গ্রাম। চারমাস আগে তৈরি হয় সমুদ্র বাঁধ। ইয়াস ও ভরা কটালের জেরে জলোচ্ছ্বাসে ভেসে বাঁধ ভেঙে মিশে গিয়েছে সমুদ্র তটে। রাস্তা ভেঙে গ্রামে ঢুকেছে জল। সরকারি ত্রাণের ভরসাতেই স্থানীয় বাসিন্দারা।
আর এদিনই কংক্রিটের বাঁধ চেয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রতিবার ঘূর্ণিঝড় আসে। আর এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ভেঙে যায় বাঁধ। তাতে সমস্যায় পড়েন তাঁরা। এদিকে আগামী বুধবার অমাবস্যার কটাল। ফলে নতুন করে জলোচ্ছ্বাসের জেরে ফের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অন্যদিকে, ইয়াসের জেরে রূপনারায়ণের জল বেড়ে যাওয়ায় জলমগ্ন ইটভাটা। ব্যাপক ক্ষতির মুখে ইটভাটা শিল্প। কোথাও জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে পোড়ানোর জন্য রাখা ইট, কোথাও আবার নষ্ট হয়েছে কাঁচা ইট। মহিষাদল এলাকায় রূপনারায়ণের তীরে গড়ে ওঠা ইটভাটাগুলিতে কাজ করেন বহু মানুষ। কাজের অনিশ্চয়তা তৈরি হওয়ায় ভিনরাজ্যে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সরকারি সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন ইটভাটা মালিকরা। প্রশাসনিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন মহিষাদলের তৃণমূল বিধায়ক।
ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। এই জেলার মানুুষ সমস্যায় পড়েছেন। ঝড়ের পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও, এখনও দগদগে ক্ষত রয়ে গিয়েছে। সরকারের সাহায্যের অপেক্ষায় মানুষ।