বিটন চক্রবর্তী, নন্দীগ্রাম: এফআইআরের জন্য ছুটতে হবে না থানায়, এবার পুলিশই পৌঁছে যাবে মানুষের কাছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে নন্দীগ্রামে শুরু হল দুয়ারে পুলিশ প্রকল্প। এক মাস ধরে নন্দীগ্রামের দুটি ব্লকে এভাবেই চলবে জনসংযোগ। যা নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। পাল্টা জবাব দিয়েছে শাসক দল।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী গতকাল মন্তব্য করেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের হরণ ও অত্যাচার বন্ধ করতে হবে। আমরা যাঁরা মানুষের সমর্থন পেয়েছি, তাঁদের মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবেরাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে শুরু হল দুয়ারে পুলিশ প্রকল্প।
করোনা আবহে আর নন্দীগ্রামবাসীকে অভিযোগ জানাতে পুলিশের কাছে যেতে হবে না। নন্দীগ্রামের ১৬ টি জায়গায় পুলিশি সহায়তা ক্যাম্প তৈরি হচ্ছে। একমাস ধরে চলবে এই পরিষেবা।নন্দীগ্রাম থানার আইসি তুহিন বিশ্বাস জানিয়েছেন, থানায় যে পরিষেবা দেওয়া হয় সেটা গ্রামে গ্রামে চালু করছি, ভ্রাম্যমান পুলিশ গ্রামে গ্রামে যাচ্ছে, এবার প্রতিটি অঞ্চল, পাড়ায় যাব যাতে পুলিশি সহায়তা পায়।
অন্যদিকে বিজেপির দাবি, তারাই আক্রান্ত। দুয়ারে পুলিশ প্রকল্পকে ভাঁওতা বলে কটাক্ষ করেছে গেরুয়া শিবির। চড়া সুরে বিজেপিকে জবাব দিয়েছে তৃণমূল। তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পাল জানিয়েছেন,সর্বত্র দুয়ারে সন্ত্রাস চলছে, এখন বলছে দুয়ারে প্রশাসন, মানুষ ভালভাবে নেবে না, বিরোধী দলকে ভিটেছাড়া হতে হচ্ছে, বিরোধী দলের বাড়িতে পৌঁছক প্রশাসন।
নন্দীগ্রাম তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি স্বদেশ দাস জানিয়েছেন, 'দুয়ারে সরকারের মতো পুলিশ মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে, বিজেপিই ভাঁওতা, সবটাই মিথ্যা, নন্দীগ্রামে ভোটের আগে কারা মার খেয়েছে, মার খাচ্ছে দেখুন, বিজেপিই অত্যাচার করছে।' পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মধ্যে নন্দীগ্রামেই প্রথম দুয়ারে পুলিশ প্রকল্প নেওয়া হল। পুলিশের দাবি, শুধু জেলা নয়, রাজ্যে এধরনের পরিষেবা বেনজির।