বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: শাশুড়ির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করাতেই কি খুন হতে হল জামাইকে? নন্দকুমারে যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় উঠে আসছে এমনই তথ্য। এদিকে সন্তান শোকে মৃত্যু হয়েছে যুবকের মায়েরও। ছেলের মৃত্যু শোক সহ্য করতে পারলেন না। একদিনের ব্যবধানে মৃত্যু হল মায়েরও। এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে। 


মঙ্গলবার সকালে, স্থানীয় বাসিন্দা তপন বেরার মৃতদেহ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়।  মৃত্যুর পরতে পরতে জড়িয়ে রহস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, তপন বেরা একটি লটারি সেন্টারের কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, এই সেন্টারের মালিকের সঙ্গে তপনের শাশুড়ির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।


পরিবার সূত্রে খবর, শাশুড়ির এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তপন। অভিযোগ, এনিয়ে আপত্তি জানানোয়, শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হয় জামাইকে। এ নিয়ে গ্রামে বসে সালিশি সভা। এরপরই উদ্ধার হয় তপনের দেহ।


মৃতের আত্মীয়ের বয়ানে জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির অশান্তির কথা বলেছিল তপন বেরা প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তার জাতীয় কিছু দিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তপনকে। তাই গলার কাছে ছিল ক্ষতচিহ্ন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথার পিছনে আঘাত করা হয়। এরপর মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে। 


এদিকে, ছেলের শোক সহ্য করত না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তপনের মা। বুধবার রাতে, তমলুক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের বাবা শ্রীকান্ত বেরা জানিয়েছেন, তার ছেলের খুনিরা যেন শাস্তি পায়। আমি ছেলে, বউকে হারালাম তাদের জন্য।


যদিও, খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ মানতে নারাজ মৃতের শাশুড়ি। খুনে অভিযুক্ত মৃতের শাশুড়ির কথায়, 'আমি জেনে শুনে মেয়ের সর্বনাশ করব?'মৃতের স্ত্রী, শাশুড়ি ও লটারি সেন্টারের মালিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।


গোটা ঘটনার পর হতবাক এলাকাবাসীরা। তাদের দাবি, দ্রুত যাতে গোটা ঘটনার সঠিক তদন্ত ও সুবিচার হয়। পুলিশও দ্রুত তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।