জলপাইগুড়ি: যৌথ পরিবার ছেড়ে আলাদা থাকুক জামাই। এমনটাই চেয়েছিলেন মেয়ের বাবা-মা। কিন্তু, তাতে রাজি না হওয়ায় জামাইকে একেবারে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁদের বিরুদ্ধে! চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে জলপাইগুড়ির কাদোবাড়ি এলাকায়।
সাত মাস আগে এখানকার বাসিন্দা ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে বিয়ে হয় করালবাড়ি বেলতলার বাসিন্দা মেহেরুন্নেসার। ইসমাইলের পরিবারের দাবি, মেহেরুন্নেসা আংশিক মানসিক ভারসাম্যহীন। কিন্তু, বিয়ের আগে পরিবারের তরফে সেকথা জানানো হয়নি।
উল্টে বিয়ের পর থেকে তাঁরা ইসমাইলকে চাপ দিতে শুরু করেন, যৌথ পরিবার ছেড়ে মেহেরুন্নেসাকে নিয়ে আলাদা থাকার জন্য। যদিও, ইসমাইল তাতে রাজি ছিলেন না। ফলে, প্রায়ই দুই পক্ষের মধ্যে অশান্তি বাঁধত বলে দাবি করেন মৃতের প্রতিবেশী আব্বাস আলি।
অভিযোগ, মঙ্গলবার মেহেরুন্নেসার পরিবারের সদস্যরা ইসমাইলকে ডেকে পাঠান। বুধবার সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে ৩০০ মিটার দূরে পুকুরে ইসমাইলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইসমাইলের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে ইসমাইলকে গলা টিপে খুন করা হয়েছে।
মেহেরুন্নেসার মা, বাবা ও দাদার বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে নিহতের পরিবার। মেহেরুন্নেসার মা এবং দাদা গ্রেফতার হলেও বাবা এখনও পলাতক।