নয়া দিল্লি: সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে করোনা ভাইরাসটির ওমিক্রন (Omicron) রূপের দুটি নতুন উপ-ভেরিয়েন্ট (Sub Variant) মানবদেহে উপস্থিত অনাক্রম্যতাকে নষ্ট করছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) জানাচ্ছে যারা ভ্যাকসিন পেয়েছেন তাঁরা এই ভ্যারিয়েন্টে কম আক্রান্ত হতে পারে। 


রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা ওমিক্রনের BA.4 এবং BA.5 উপ-ভেরিয়েন্ট প্রজাতি নিয়ে বিশ্লেষণ করেছিলেন। এই দলটিই গত বছরের শেষের দিকে ওমিক্রন সংক্রামিত ৩৯ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে। ওমিক্রন সাবস্ট্রেনগুলির সংক্রমণ ক্ষমতা ও অ্যান্টিবডির সুরক্ষা বলয় ভেঙে সংক্রমিত করার বিষয়টি সামনে এসেছে৷ বিজ্ঞানীরা বলছেন এই নতুন ওমিক্রন স্ট্রেনগুলি পূর্বের সংক্রমণ এবং ভ্যাকসিন এবং প্রাকৃতিক উপায়ে পাওয়া অনাক্রম্যতা এড়াতে সক্ষম। 


আরও পড়ুন, রেস্তোরাঁর খাবারে বিষ? রোল খেয়ে মৃত্যু কিশোরীর, হাসপাতালে ভর্তি ১৮ জন পড়ুয়া 


নতুন ওমিক্রন স্ট্রেনগুলি পূর্বের সংক্রমণ এবং টিকা থেকে পাওয়া অ্যান্টিবডি এড়াতে সক্ষমতা দেখায়। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরীক্ষাগার গবেষণায় এই তথ্য জানা গিয়েছে৷ অনুসন্ধানগুলিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় সম্প্রতি আবিষ্কৃত ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিএ.৪ এবং বিএ.৫ সাবস্ট্রেনের কথা বলা হয়েছে এবং আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে ওমিক্রনের এই সাবস্ট্রেনগুলি বিশ্বজুড়ে আরও একটি নতুন ঢেউ তৈরি করে দিতে পারে।


বিজ্ঞানীরা বলছেন, বুস্টার ডোজের উপর ভরসা রাখতে হবে। না হলে কোনও উপায় নেই ওমিক্রন ঠেকানোর। করোনা কালে বার বারই বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তার কথা সামনে এনেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সেই সঙ্গে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থাও বারবার বলেছে সংক্রমণ ঠেকাতে বুস্টার ডোজ অপরিহার্য।                                                                  


ন্যাশানাল কোভিড টাস্ক ফোর্সের সহ-চেয়ারম্যান ডাঃ রাজীব জয়দেবনের নেতৃত্বে করা  গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে সকল মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই বুস্টার ডোজ গ্রহণ করেননি। সমীক্ষায় মোট ৫হাজার ৯৭১ জন মানুষের ওপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।