নয়াদিল্লি : আমাদের প্রতিদিনের খাবারের অন্যতম উপাদান চিনি। চিনি শরীরে এনার্জি জোগানোর কাজ করে। যদিও ডায়াবেটিস রোগীদের চিনি খাওয়া নিষেধ। চিনি সস্তা হলে রান্নাঘরের বাজেটে একটু লাগাম টানা যাবে ঠিকই। একইভাবে ব্যয়বহুল হয়ে পড়লে টান পড়বে বাজেটে। এবার চিনি উৎপাদন কমে যাওয়ায় পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিনির দাম বাড়তে পারে। চলুন জানার চেষ্টা করি ভারতে চিনি উৎপাদন কোথায় দাঁড়িয়ে ।


বিভিন্ন রাজ্যে কোথায় চিনির উৎপাদন কমছে, আর কোথায় বাড়ছে ?


কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত দেশে চিনি উৎপাদনের তথ্য সংগ্রহ করছে। চিনি বিপণন বছর- অক্টোবর থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ধরা হয়। চলতি মরসুমে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চিনি উৎপাদন ৬ শতাংশ কমে ৩ কোটি ১১ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে। এর পেছনে মূল কারণ বলা হচ্ছে, মহারাষ্ট্রে চিনি উৎপাদনের ঘাটতি। খবর অনুযায়ী, শিল্প সংস্থা ISMA-এর মতে, বিপণন বছর ২০২১-২২ সালে একই সময়ে চিনির উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ২৮.৭ লক্ষ টন। কিন্তু এ বছর তা ১৭ লক্ষ টন কমে গেছে।


মহারাষ্ট্র-কর্ণাটকে উৎপাদনে ঘাটতি-


চিনি উৎপাদন সবথেকে বেশি হয় মহারাষ্ট্রে। কিন্তু, এখানেও চিনি উৎপাদন কমে গেছে। আগের মরসুমে মহারাষ্ট্রে চিনি উৎপাদন হয়েছিল ১ কোটি ২৬.৫ লক্ষ টন। কিন্তু, এবার তা কমে হয়েছে ১.০৫ কোটি টন। অন্যদিকে কর্ণাটকে চিনি উৎপাদন ৫৮ লক্ষ টন থেকে কমে হয়েছে ৫৫.৩ লক্ষ টন।


উত্তরপ্রদেশে উৎপাদন বৃদ্ধি-


ইন্ডিয়ান সুগার মিলস অ্যাসোসিয়েশনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশ চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজ্য। গত মরসুমে চিনি উৎপাদন হয়েছিল ৯৪.৪ লক্ষ টন। ১ অক্টোবর, ২০২২ থেকে ১৫ এপ্রিল, ২০২৩ সাল পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬.৬ লক্ষ টনে। উত্তরপ্রদেশে চিনি উৎপাদনের বৃদ্ধি দেখে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।


এ বছর ১৮ লক্ষ টন কম উৎপাদন হবে ?


বিপণন বছর ২০২২-২৩ এর ক্ষেত্রে ISMA অনুমান করেছে যে, এবার দেশে ৩.৪০ মিলিয়ন টন চিনি উৎপাদন হতে পারে, যেখানে গত বছর চিনির উৎপাদন ছিল ৩.৫৮ মিলিয়ন টন।


চিনি উৎপাদন কমে যাওয়া ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয়। কারণ, ব্রাজিলের পর ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় চিনি উৎপাদনকারী দেশ।


আরও পড়ুন ; চিনির স্বাদ হবে তেতো! আরও বাড়তে পারে দাম, জেনে নিন কারণ