নয়াদিল্লি: ছত্তীসগঢ়ের সুকমা-বিজাপুরে মাওবাদীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত ২২ জন জওয়ানের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। মাওবাদীদের খোঁজে যৌথ অভিযান চালায় সিআরপিএফের কোবরা বাহিনী, ডিআরজি এবং এসটিএফ৷ তখনই তাঁদের ওপর হামলা চালায় মাওবাদীরা৷ পাল্টা জবাব দেয় বাহিনীও৷ গুলির লড়াইয়ে প্রাণ হারান ২২ জন জওয়ান৷ 


বীজাপুরের এসপি কমলাচোন কাশ্যপ বলেন, সুকমা-বিজাপুরে সীমানায় মাওবাদীদের হামলায় ২২ জন জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনায় শহিদদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। তিনি বলেন, ছত্তীসগঢ়ের  মাওবাদী  বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর হত্যা গভীর উদ্বেগের বিষয়। শোকাহত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। দেশ তাঁদের ত্যাগ কখনই ভুলবে না।


মাওবাদী হামলা প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। উভয় পক্ষের অনেকেই প্রাণ হারিয়েছেন। আমাদের জওয়ানরা মৃত্যু বরণ করেছেন। তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। আমি সংশ্লিষ্টদের পরিবারকে বলতে চাই, এই ত্যাগ বৃথা যাবে না।


গতকালই জানা যায়, বীজাপুরের জঙ্গলে মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে সে রাজ্যে শহিদ হয়েছেন ৫ জন জওয়ান, ৩ জন সিআরপিএফ, আর ২ জন রাজ্যের বিশেষ বাহিনীর সদস্য। উদ্ধার করা হয়েছিল ২ মাও সদস্যের মৃতদেহও। কিন্তু বর্তমানে বদলে গিয়েছে সংখ্যাটা। উত্তরোত্তর বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সূত্রের খবর, বাহিনী ও মাওবাদীদের মধ্যে গুলির লড়াইয়ে খতম হয়েছে ২ মাওবাদীও। এর মধ্যে মহিলা অপারেটিভও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ছত্তীসগঢ়ের বীজাপুরে মাও হানায় আহত হন আরও ১২।


সূত্রের খবর, বিজাপুরের তারেম এলাকার সিলগার জঙ্গলে অভিযান চালাচ্ছিল সিআরপি এবং রাজ্য পুলিশের এসটিএফ ও ডিআরজি-র যৌথ বাহিনী। আচমকা, জঙ্গলের মধ্যে থেকে বাহিনী লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে মাওবাদীরা। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত সিআরপি  জওয়ানদের মধ্যে  অনেকেইএলিট কোবরা (কমান্ডো ব্যাটালিয়ন ফর রেসোলিউট অ্যাকশন)-ইউনিটের এর সদস্য। 


এর আগে, গত ২৩ মার্চ, ছত্তিসগড়ের নারায়ণপুর জেলায় আইইডি দিয়ে বাহিনী-ভর্তি বাসে বিস্ফোরণ ঘটালে পাঁচ ডিআরজি জওয়ানের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহের গোড়ায় সুকমায় নাশকতামূলক হামলা চালানোর ছক কষার অভিযোগে তিন মাওবাদীকে গ্রেফতার করে আইটিবিপি। গতমাসে, বিজাপুরে জেলা পঞ্চায়েত সদস্যকে হত্যা করে মাওবাদীরা। ওই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে, কোন্দাগাঁওয়ের ধানোরা এলাকায় ১১টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় মাওবাদীরা।