নয়াদিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন চালু করেছে কেন্দ্র। CAA-র বিরোধিতায়, তাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক মামলা জমা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে (SC on CAA)। মঙ্গলবার দুপুরে সেই নিয়ে শুনানিতে CAA কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ যদিও দেওয়া হয়নি, কবে সেই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব চেয়েছে শীর্ষ আদালত। যে ২৩৭টি আবেদন জমা পড়েছে, সেই নিয়ে আগামী তিন সপ্তাহ অর্থাৎ ৮ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামা জমা দিতে বলা হয়েছে কেন্দ্রকে। (CAA Petitions)


লোকসভা নির্বাচনের আগে, গত সপ্তাহে CAA নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের ওই আইনের বিরুদ্ধে পর পর একাধিক দুই শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। এদিন সেই মামলাগুলির শুনানিতেই কেন্দ্রের কাছে জবাব চেয়েছে আদালত। আগামী ৮ এপ্রিলের মধ্যে হলফনামার আকারে জবাব আদালেত জমা দিতে হবে কেন্দ্রকে। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের তরফে হলফনামা জমা পড়ের আগে যদি কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়, সেই নিয়ে ফের আদালতে মামলা করার অনুমতিও দিয়েছে আদালত।


এদিন আদালতে কেন্দ্রের হয়ে সওয়াল করছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের সামনে তিনি বলেন, "CAA কারও নাগরিকত্ব হরণের আইন নয়।" এর পর আবেদনের জবাব দেওয়ার জন্য কিছুটা সময় চান তিনি। বলেন, "২৩৭টি আবেদন জমা পড়েছে। আজই ২০টি আবেদন পড়েছে স্থগিতাদেশ চেয়ে। সবের জবাব দিতে সময়ের প্রয়োজন আমার।"


আরও পড়ুন: India On Arunachal Pradesh:'ভিত্তিহীন' ও 'অবাস্তব', অরুণাচল নিয়ে চিনার দাবি পাল্টা দিল ভারত


প্রথমে চার সপ্তাহ সময় চেয়েছিলেন মেহতা, তার তীব্র বিরোধিতা করেন আইনজীবী কপিল সিবল। ওই সময়ের মধ্যে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হয়ে গেলে, পরে তা পাল্টানো যাবে না বলে জানান তিনি। আইন চালু করতে যখন এতদিন যখন অপেক্ষা করেছে কেন্দ্র, আরও কিছুদিন অপেক্ষা করলে অসুবিধা কোথায়, প্রশ্ন তোলেন তিনি।


এর পর কেন্দ্রকে তিন সপ্তাহ সময় দেয় আদালত। ৯ এপ্রিল ফের শুনানি হবে মামলার। ওই সময়ের মধ্যে কেন্দ্র কাউকে নাগরিকত্ব দিতে পারবে না বলে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং। সিবলও তার পক্ষে সওয়াল করেন। তেমন কিছু ঘটলে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যাবে বলেও এর পর জানিয়ে দেয় আদালত।


এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় নেতৃত্বাধীন, বিচারপতি জেপি পর্দিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই মামলার শুনানি করে। CAA-ৎ বিরোধিতায় যে আবেদনগুলি জমা পড়েছিল, তাতে কেরলের ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ, কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এবং তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের আবেদনও ছিল।