নয়াদিল্লি: ধর্ষণ (rape) ও খুনের (murder) অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত (death sentence) এক ব্যক্তির সাজা (commute) কমাল সুপ্রিম কোর্ট (supreme court)। আসামি গত ১০ বছর সলিটারি কনফাইনমেন্টে (solitary Confinement) ছিল। সাজা কমানোর রায়ে এই পর্যবেক্ষণে গুরুত্ব দেয় শীর্ষ আদালত। বলে, এক দশক ধরে সম্পূর্ণ একা বন্দীদশা আসামির উপর নানা খারাপ প্রভাব ফেলেছে। সেগুলি মাথায় রেখেই তার সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। 


কী পর্যবেক্ষণ?
বি এ উমেশ নামে এক আসামির আপিলে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ১৯৯৮ সালে বেঙ্গালুরুতে এক মহিলাকে ধর্ষণ ও খুন করে সে। ২০০৬ সালে ট্রায়াল কোর্ট তাকে মৃত্যুদণ্ড শোনায়। পরে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমাভিজ্ঞার আর্জি গেলে সেটিও নাকচ হয়। তবে এই দুটি ঘটনার মধ্যে অনেকটা সময় একক কারাবাসে থাকতে হয়েছিল উমেশকে। ২০১৩ সালের ১২ মে তার ক্ষমাভিজ্ঞার আর্জি নাকচ করেন রাষ্ট্রপতি। এতেই শেষ নয়। তার পর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত আরও একদফা একক কারাবাসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় আসামিকে। প্রধান বিচারপতি ইউ ইউ ললিতের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চের মতে, '...এই একক কারাবাসের মেয়াদ সম্পূর্ণভাবে আদালতের নিয়মবিরুদ্ধ।' সঙ্গে  সংযোজন, আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবনের সাজা দিলে তবেই ন্যায়বিচার সম্ভব হবে। 


সাজার খুঁটিনাটি...
সুপ্রিম কোর্ট উমেশের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবনের শাস্তি দিয়েছে। তবে সঙ্গে বলেছে, তাকে অন্তত ৩০ বছর কারাবাসে থাকতে হবে। যদি তার তরফে কোনও ছাড়ের আর্জি পেশ করা হয়, সেটি বিবেচনা করা যেতে পারে। তবে তার আগে তাকে ৩০ বছরের সাজার মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে হবে। তবে একই সঙ্গে আরও কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে আদালত। জানিয়েছে, উমেশের আবেদনের ফয়সালা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যে সময় নিয়েছেন তাকে মোটেও 'অনির্দিষ্টকাল দেরি' বলা যাবে না। এমনও নয় যে এর ফলে প্রত্যেকটি দিন আসামির ভোগান্তি বাড়তে থেকেছে। তবে ১০ বছরের সলিটারি কনফাইনমেন্ট যে ভাবে তার উপর প্রভাব ফেলেছিল, তার পর ন্যায়বিচার করতে হলে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমানো উচিত বলেই মনে করে শীর্ষ আদালত। অতঃপর যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি। প্রসঙ্গত, বিস্তর আইনি টানাপড়েনের পর ২০২০ সালের মার্চে কার্যকর হয়েছিল নির্ভয়া গণধর্ষণের চার আসামির ফাঁসি। একসঙ্গে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয় মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় ঠাকুরের। 


আরও পড়ুন:ভাল নয় আর্থিক অবস্থা, বেশি ডিএ দিতে গেলে আসতে পারে আর্থিক বিপর্যয়, কার্যত মেনে নিল রাজ্য সরকার