নয়াদিল্লি: পথকুকুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দেশজুড়ে বিতর্ক চলছে। দিল্লির রাস্তা থেকে পথকুকুর যেন না সরানো হয়, এই দাবিতে সরব এক ব্যক্তির হাতে সম্প্রতি আক্রান্ত হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীও। এই পরিস্থিতিতে আজ, শুক্রবার পথকুকুর সংক্রান্ত নির্দেশে বড় বদল আনল সুপ্রিম কোর্ট। আজকের এই সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, শুক্রবার পথকুকুরদের টিকা এবং কৃমিনাশক ওষুধ দেওয়ার পরে একই এলাকায় ছেড়ে দিতে হবে। বহু বিতর্কের পর এই রায়ে স্বাভাবিক ভাবেই খুশির হাওয়া পশুপ্রেমীমহলে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, যেসব কুকুর জলাতঙ্কে আক্রান্ত বা আক্রমণাত্মক আচরণ, তাদের টিকা দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রেই রাখতে হবে। আদালত জানিয়েছে এই মামলাটি বিস্তারিতভাবে শুনানির পর একটি জাতীয় নীতি প্রণয়ন করবে।
বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সন্দীপ মেহতা এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চ গত ৮ অগাস্টের রায়ে আরও কিছু পরিবর্তনের সংশোধনীর দিয়েছে। চলতে মাসের ৮ তারিখে সুপ্রিম কোর্ট দিল্লি-এনসিআর-এর সিভিক অথরিটিকে আট সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত পথকুকুরকে ধরে তাদের নির্দিষ্ট আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেয়। তারপরই দেশ জুড়ে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। পশুপ্রেমীদের একাংশ এই রায়ের বিরোধিতা করেন। রায়টি দিল্লি এনসিআর কেন্দ্রিক হলেও তার প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় সারা দেশেই।
গত কয়েক মাসে দিল্লিতে কুকুরের কামড়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়া, সেই সঙ্গে রেবিস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর একাধিক ঘটনা ঘটে। সেই প্রেক্ষিতেই গত পথকুকুরদের রাস্তা থেকে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। চলতি মাসেই শীর্ষ আদালত নির্দেশ জারি করে, দিল্লি-এনসিআরের সব পথ কুকুরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে হবে। নির্দিষ্ট সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়, এই কাজে বাধা দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বাধা দানকারীর বিরুদ্ধে। এই রায় মেনে নিতে পারেনি কুকুরপ্রেমী বহু মানুষই। রায়ের সরাসরি বিরোধিতা করে বহু এনজিও-ও। তারপরই ২২ অগাস্ট সেই রায় সংশোধন করে নতুন নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তবে, শীর্ষ আদালতের নির্দেশে স্পষ্ট উল্লেখ,পথ কুকুরদের জনসমক্ষে খাওয়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কুকুরদের খাওয়ানোর জন্য নির্দিষ্ট খাবারের জায়গা তৈরি করতে হবে। রাস্তায় কুকুরদের খাওয়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।