বিজেন্দ্র সিংহ, নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনীতে আধার, রেশন ও ভোটার কার্ড অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ। বিহারে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনীতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। 

আরও পড়ুন, ক্যাম্পাসে গণধর্ষণের অভিযোগ, প্রতিবাদে বৃষ্টি মাথায় করেই লালবাজার অভিযান কংগ্রেসের, আচমকাই শুরু হল ডিম ছোঁড়া !

আধার, ভোটার এবং রেশন কার্ডও বিবেচনা করতে হবে কমিশনকে, নির্দেশ শীর্ষ আদালতের। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই। বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশনের সিদ্ধান্ত কমিশনের। কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্য়ালেঞ্জ করে মামলা সুপ্রিম কোর্টে। বিশেষ সংশোধনীর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানায় তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। মূলত আধারকে কখনই একটা প্রামাণ্য নথি হিসেবে গণ্য করা হবে না, এই নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। যার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে।  

 বিহারে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনী প্রক্রিয়া চলবে।তবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ডের মতো যে নথিগুলি জাতীয় নির্বাচন কমিশন বিবেচনার মধ্য়েই আনতে চাইছিল না, তা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে এবার মন্তব্য় করল সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। যার ফলে কার্যত জোর ধাক্কা খেল কমিশন।এবছরের শেষে বিধানসভা ভোট রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য় বিহারে। তার আগে সেখানে শুরু হয়েছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন কর্মসূচি।  ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এই কাজ সেরে ফেলতে চায় নির্বাচন কমিশন।বিহারের ভোটারদের নির্দিষ্ট ফর্ম বিলি করা হয়েছে। তা পূরণ করে নথি-সহ জমা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট দফতরে। নথি হিসাবে দেখাতে হবে নিজের এবং বাবা-মায়ের জন্মের শংসাপত্র। কিন্তু, কমিশন জানিয়েছিল, আধার কার্ড, ভোটার কার্ড বা রেশন কার্ডের মতো নথি বিবেচিত হবে না। আর এখানেই দানা বেঁধেছে বিতর্ক। বিরোধীদের দাবি, এভাবে প্রায় তিন কোটি ভোটারকে বাদ দিয়ে বিহারে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে চাইছে মোদি সরকার। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মোদি সরকারের আঁতাতের অভিযোগেও সরব হয় সব বিরোধী দলগুলি। এই প্রেক্ষাপটে 

বৃহস্পতিবার অত্য়ন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী তাঁদের পর্যবেক্ষণে বলেন , আমাদের মতে, পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত ১১টি নথির তালিকায় আধার কার্ড, ভোটার কার্ড এবং রেশন কার্ড অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।তবে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করবে। যদি কমিশন এই নথিগুলি গ্রহণ না করে, তবে তার উপযুক্ত কারণও ব্যাখ্যা করতে হবে।  

নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী সর্বোচ্চ আদালতে জানান, নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে 'আধার কার্ড'-কে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু, বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, কেন 'আধার কার্ড'-কে গ্রাহ্য বলে ধরা হবে না?ভোটার তালিকা সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের তাড়াহুড়ো নিয়েও বৃহস্পতিবার প্রশ্ন তোলে সর্বোচ্চ আদালত। কমিশনের আইনজীবীর উদ্দেশে বিচারপতি জয়মাল্য় বাগচী প্রশ্ন করেন, এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করতে চাইছেন কেন? জনগণনা সারা বছর ধরে হয়। আপনারা এত তাড়াহুড়ো করছেন কেন?বিহারে ভোটের ঠিক মুখেই ভোটার তালিকার এই বিশেষ সংশোধন কর্মসূচি কেন করা হচ্ছে এই নিয়েও প্রশ্ন করে সুপ্রিম কোর্ট!এই মামলার পরবর্তী শুনানি ২৮ জুলাই। ২১ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।